দেশ প্রতিবেদকঃ
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। সঙ্গতকারণেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও দলের আদর্শ থেকে বিচ্যূত হয়নি। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে বঙ্গবন্ধু সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে তৃণমূলের সংগঠন হিসেবে সৃষ্টি করেছিলেন বলেই আজ হাজারও প্রতিকূলতার মধ্যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে সৃষ্টি হয়নি যে, এই দলকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। তিনি আরো বলেন, অনেকে চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগকে ছিন্নভিন্ন করার। কিন্তু তৃণমূলের সংগঠন বিধায় কোন অপশক্তি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারে নি। আর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দল সৃষ্টি করেছে তাদের অবস্থা যা হবার সেটিই হয়েছে। ওদের তৃণমূলের কোন ভীত নেই। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। তৃণমূলের শক্তি আছে বলেই আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাসহ সকল হত্যার বিচার এবং বিডিআর বিদ্রোহের মত জটিল জটিল সমস্যার নিরসন করতে সক্ষম হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সংগঠনকে আরো অধিক শক্তিশালী করতে হবে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে দিনব্যাপী ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কৌশলগত পরিকল্পনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর শাম্মী লায়লা ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ফেলো মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের সঞ্চালনায় কর্মশালা পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর আব্দুল আলিম। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিজিওনাল ম্যানেজার রুবাইয়াত হাসান। কর্মশালা পরিচালনায় সহায়তায় করেন সিলমি সাদিয়াসহ ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। কর্মশালায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল আজিজ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল হাই পলাশ, বাবুল সরদার বাদল, মঞ্জুরুল আলম, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. শফিউল্লাহ, আলী আহমদ, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, ইউসুফ আলী খান, কাউন্সিলর এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল, জাফর ইকবাল মিলন, খ ম লিয়াকত আলী,  মুন্সি মো. মোত্তালিব মিয়া, ইমরুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ, জেসমিন সুলতানা শম্পা, এ্যাড. সাহারা ইরানী পিয়া, রোকেয়া রহমান, আফরোজা জেসমিন বিথী, অধ্যা. সুরাইয়া পারভীন, মিজানুর রহমান জিয়া, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, এ্যাড. হালিমা আক্তার শিউলি, রাবেয়া ওয়ালীয়া টুই, মো. শহীদুল হাসান, নজরুল ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত, রাহুল শাহরিয়ার প্রমূখ অংশগ্রহণ করেন।