• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন

×

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে নগরীর সড়ক—বসতঘর

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৭ পড়েছেন

মুকুল রায়:ভারী বর্ষণে তলিয়েছে খুলনা মহানগরীর রাস্তাঘাট ও বসতঘর। গতকাল শুক্রবার সকালের মুষলধারের বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সকালের ভারী বর্ষণে চরম দুর্ভোগে পড়ে খেটে খাওয়া ও নিম্নবিত্ত মানুষ। নগরবাসীর অভিযোগ, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় নগরীর নিম্নাঞ্চল। বাসা—বাড়িতে ঢুকে পড়ে পানি। প্রধান প্রধান সড়কগুলোয় তৈরি হয় জলজট। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবারের সকালের বৃষ্টিতে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর মুজগুন্নি, বাস্তুহারা কলোনী, হাউজিং এলাকা, ফুলবাড়ী গেট, রেলিগেট, মহেশ্বরপাশা, দৌলতপুর, নতুন রাস্তার মোড়, আলমনগর, নেভি চেকপোস্ট, রায়েরমহল, বয়রা বাজার, গল্লামারী, ময়লাপোতা, রয়্যাল মোড়, টুটপাড়া জোড়া কল বাজার, মহির বাড়ির খালপাড়, রূপসা ঘাট, নতুন বাজারসহ অনেক এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। নগরবাসীর অভিযোগ অল্প বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পযর্ন্ত মুষলধারের বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হহয়। প্রায় তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়টি নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এমনটি দেখা যাচ্ছে। যেসব সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে সেসব সড়কে চলাচলে অতিরিক্ত দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ। তারা বলেন, প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিনসহ নানারকম ময়লা—আবর্জনায় নালা—নর্দমার মুখগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বৃষ্টির সময় ড্রেন উপচে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
নগরীর বয়রা এলাকার বাসিন্দা কামরুল হাসান বলেন, নিয়মিতভাবে ড্রেন পরিষ্কার করে না দায়িত্বরত লোকজন। দায়সারাভাবে ড্রেন পরিষ্কার করলে এই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হবেই। পরিকল্পিত উপায়ে ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে এই জলাবদ্ধতা দূর করা যেত। খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ও রাতে ভারি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কেসিসি সূত্র, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকার মধ্যে সড়ক রয়েছে, ১ হাজার ২১৫টি। যার দুই—তৃতীয়াংশই বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। কেসিসির জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গত ছয় বছরে ১০৪টি ড্রেন পুন:নির্মাণ করেছে। ময়ূর নদসহ সাতটি খাল পুনরায় খনন ও ৩২টি ড্রেনের সংস্কার চলছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০২ কোটি টাকা। খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ‘ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। প্রকল্প ব্যয় ছিল ৮২৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। নতুন প্রকল্পে এসব ড্রেনের ওপর কাভার দেওয়ার ফলে নগরবাসী খোলা ড্রেনে আর ময়লা ফেলতে পারছে না। কিন্তু আধুনিক ময়লা পরিষ্কার করার যন্ত্র না থাকায় এসব ড্রেনের ভেতর পানির প্রবাহে বয়ে আসা পলিথিন, চিপসের প্যাকেটসহ অন্যান্য ময়লা—আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নিম্ন অঞ্চলের পানি অপসারণ হতে সময় লাগছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্রধান কনজারভেন্সি অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, কেসিসির পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা হয়। তাছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে চলমান প্রকল্পগুলো এবং খাল খননের কাজ শেষ হলে এই জলাবদ্ধতার সমস্যা আর থাকবে না।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA