• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

×

খুলনায় কৃষক লীগের কেন্দ্রিয় নেত্রী হালিমা গ্রেফতার

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪
  • ১৮৩ পড়েছেন

 

# ১ ঘন্টা পুলিশকে লিফটে আটকে রাখা
# পুলিশের উপর হামলা
# মাদক ব্যবসায়ী পলাশকে ছিনতাই
# ধর্ষণ মামলার আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা

মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট :
বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হালিমা রহমানকে গ্রেফতার করেছে খুলনার খালিশপুর থানা পুলিশ। অভিযোগে বলা হয়েছে হালিমা রহমান পুলিশের থেকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে, অভিযান কালে পুলিশের ৫ কর্মকর্তাকে লিফটের মধ্যে আটকিয়ে রেখে লিফটের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয় এবং পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময়ে হালিমা রহমানের সাথে থাকা স্বামী দেবরসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণ মামলার আসামী ও দুবৃত্তরা হালিমার বাড়িতে অবস্থান করছে জেনে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খালিশপুর থানা পুলিশ নগরীর মুজগুন্নি বাস্তুহারা এলাকায় হালিমার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ও মাদক কারবারি পলাশ হালিমার বাস্তুহারার বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। হালিমা বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ লিফটে উঠলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হালিমা লিফটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ফলে ওই লিফটের ভিতরে পুলিশের এসি ওসিসহ ৫ সদস্য আটকা পড়েন। প্রায় এক ঘন্টা লিফটে অবরুদ্ধের পর সহকর্মীদের সহযোগিতায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এ সময়ে পলাশকে গ্রেফতার করা হলে হালিমা ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হালিমার হামলায় পুলিশের ৯ সদস্য আহত হয়। হামলার সময় পলাশ পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রায় ১ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে হালিমা রহমান, তার স্বামী ও দেবরসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ১৪ জনের মধ্যে ইয়াছিন ও মিনার ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মাদক কারবারি পলাশকে গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। পলাশকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ১১ টায় খালিশপুর থানার ওসিসহ পুলিশের একটি টিম কৃষকলীগ নেত্রী হালিমা রহমানের বহুতল ভবনে অভিযান চালায়। এ সময় হালিমার সাথে থাকা কর্মী সমর্থকরা পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়। তারা ওসি সহ পুলিশ টিমকে লিফটের মধ্যে আটক করে রাখে। পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা এবং অশ্লীল আচরণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ জনকে আটক করলে হালিমা রহমান, তার স্বামী ইভান কাজী ও দেবর মিনার কাজী, জাহিদুল ইসলামসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন নারী ও পুরুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ৯ টার দিকে বাস্তুহারা কলোনীর ২ নং রোডে ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (২৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারধোর করে জখম করে ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। ওই আসামীদের মধ্যে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, ধর্ষণকারীসহ বহু অভিযোগের অভিযুক্তরা হালিমা রহমানের বাসভবনে আত্মগোপন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে হালিমা রহমানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময়ে হালিমা রহমান আসামীদের রক্ষা করতে তার লোকজন নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আমি (ওসি) এসিসহ ৫জন লিফটে উঠলে হালিমা লিফটের সুইস বন্ধ করে দেয়। পরে আমাদের সহকর্মীদের সহযোগিতায় সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে কৃষক লীগের কেন্দ্রিয় নেত্রী হালিমা রহমান, তার স্বামী, দেবর সহ ১৪জনকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপর হামলার সময় মাদক কারবারী পলাশ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA