• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

×

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে শাক সবজির দাম

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪
  • ৪০ পড়েছেন

আবু নুরাইন খোন্দকার: অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে খুলনা শহরের কাঁচা বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা সবজির দাম। বেগুন মরিচসহ উৎপাদিত সবজি বিক্রয় হচ্ছে চড়া দামে। অতিরিক্ত দামে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা দুষছেন বৃষ্টি ও বন্যাকে। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন কাচা বাজার ঘুরে এমন চড়া দামে সবজি বিক্রয় করতে দেখা যায়। রুপসা, নতুন বাজার , মিস্ত্রিপাড়া বাজার, নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাতা তেজি দরে। ২৫০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ২৫০ গ্রাম কিনলে যার দাম পড়তো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। কালো মরিচ কেজি ৩০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে বাজার ও মানভেদে অন্যান্য সবজিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল, ঝিঙ্গা, কাঁকরল, ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। করলা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি, কচুর লতি, কচুরমুখী ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মূলা ৬০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কাঁচা কলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। নতুন বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকা থেকে ২৬০টাকায়, পাকিস্তানি কক মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন বাজারে কথা হয় ক্রেতা তৌহিদ হোসেন সরকারের সাথে। তিনি জানান গত শীত থেকে যে তরকারীর দাম বেড়েছে তা এখনো কমেনি। অল্প আয়ের মানুষের জীবন খুবই কষ্টের। সরকারের এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নিউ মার্কেটের কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। যাতায়াত খরচ, বাজার খরচসহ নানা করণে বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। গল্লামারি বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারের উপর খুচরা বাজার নির্ভর করে। যে মাল আমরা বেশী দামে কিনি, তা বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। ক্রেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, মধ্যবিত্তদের জীবন এখন দুর্বিষহ। না পারছি না খেয়ে থাকতে—না পারছি কিনতে। প্রতিটি সবজির দাম লাগাম ছাড়া। বেগুনের কেজি ১২০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও ছিলো ৬০—৭০ টাকা। কাঁচা ঝালের দাম তো সেই ঈদের আগে থেকেই আকাশ চুম্বি। সোনাডাঙ্গা ট্রাক ষ্ট্যান্ডের পাইকারি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা খুলনার বাইরে থেকে সবজি আনি। অতিবৃষ্টি এবং পরিবেশ খারাপ হওয়ায় শাক—সবজির দাম একটু বেশী। শাক সবজির চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। অনেকের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। ট্রাক ষ্টান্ডের পাইকারি ক্রেতা রমজান আলী বলেন, এখান থেকে পাইকারি দামে সবজি ক্রয় করে নিয়ে খুচরা বিক্রয় করি। এতে লাভ বেশী করতে পারি না। চড়া দামে কিনে সামান্য লাভেই তরকারী বিক্রয় করতে হয়। খদ্দেররা ভাবেন আমরাই মনে হয় দাম বেশী রাখি। আসলে পাইকারি দামই এখন চড়া। আমরা কী করতে পারি?

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA