• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

×

খুলনায় হত্যার আশংকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
  • ২৯ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক :

নগরীর খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমানের ইন্দনে চরমপন্থী নেতা নাছিম ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেছে বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন হাসান। রবিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে হত্যার আশংকায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ী গেট পুরাতন কুয়েট রোড এলাকার জনৈক মো. কবির সরদারের মেয়ে সাদিয়া সুলতানা ইতি তার আত্মীয় শেখ আবুল কালাম আজাদের বাড়ীর দেয়াল ঘেঁষে ৫ তলা বাড়ী নির্মাণের চেষ্টা করেন। আবুল কালাম আজাদ অনুমতি না নিয়ে বাড়ী নির্মাণ করায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। কেডিএ সাদিয়া সুলতানা ইতির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় ইতি ও তার সহযোগীরা অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য কালামকে হুমকি দেয়। কালাম আমার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে আমাকে জানালে গত ৩ জুন এলাকার গণ্যমান্য লোকদের সাথে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ইতি ও তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও সাদিয়া সুলতানা ইতি পক্ষ নিয়ে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা বিভাগীয় প্রধান পরিচয় দানকারী জনৈক নাসিম ও জনৈক মাহফুজ আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে কালামের পক্ষে বিচার করতে গেলে মারা পড়বি বলে হুমকি প্রদান করে। এছাড়া সাংবাদিক পরিচয় দানকারী সাইফুল্লা তারেক আমাকে ইতির সালিশ করলে বিপদে পড়বে বলে হুমকি দেয়। এসব হুমাকি প্রদানের ঘটনায় আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৫ জুন খানজাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান আমার জিডি নেন নি। তবে ৬ জুন তারিখে ইতি আমার বিরুদ্ধে জিডি করলে ওসি হাফিজুর রহমান জিডি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে গত ৮ জুন খানজাহান আলী থানার সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমান ও সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মাষ্টারের উপস্থিতিতে শালিসে সাদিয়া সুলতানা ইতিকে কেডিএ এর নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ইতির করা মিথ্যা জিডি ২০ জুন আদালত কর্তৃক খারিজ হয়। ঐ দিন রাতেই খানজাহান আলী থানার ওসির যোগসাজসে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সাদিয়া সুলতানা ইতি। পরের দিন ২১ জুন আমাকে খানজাহান আলী থানায় ডেকে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আদালত ০৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে আমাকে জামিন দেয় ও তদন্তকারী কর্মকর্তা অয়ন তীর্থ পাইককে সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়া কিভাবে থানায় মামলা হলো এবং বিবাদীকে গ্রেফতার করা হলো সে বিষয়ে শোকজ করে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশবাসী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আরো নতুন করে মিথ্যা মামলা হওয়ার আশংকা করেন। তিনি খুন হলে কাউন্সিলার গোলাম রব্বানী টিপু, খানজাহান আলী থানার ওসি হাফিজুর রহমান, চরমপন্থী নেতা নাছিম, সাংবাদিক সাইফুল্লাহ তারেক ও সাদিয়া সুলতানা ইতিসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন দায়ী থাকবে বলে দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এস আই অয়ন তীর্থ পাইক জানান, শেখ জাফরিন হাসানের মামলায় আদালত আমাকে শোকজ করেছে। আগামী ১৬ জুলাই জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে ঐদিনই বিজ্ঞ আদালতের নিকট আমি আমার বক্তব্য পেশ করবো।

হত্যার হুমকীর অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে মো. নাছিম বলেন, আমি শুধু তাকে বলেছি এসব ঝামেলার মধ্যে তুমি যেও না। শুধুশুধু ঝামেলায় জড়িয়ে লাভ কি। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলিনি।

 

 

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA