• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

×

কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক হালিমাকে বহিস্কার

  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৩ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক: সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসৎ ও অনৈতিক আচরণ এবং আইনশঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানসহ সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসা. হালিমা রহমানকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কারের এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩/৪ দিন যাবৎ জাতীয় পত্র—পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার নামে (হালিমা রহমান) সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসৎ ও অনৈতিক আচরণ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তব্য কাজে বাধাদান ও পত্র—পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কতিপয় খবর ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া আপনি নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাষ্টি্রয় আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন আপনার উক্ত ঘটনার জন্য বিব্রত। উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির নির্দেশক্রমে আপনাকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাথমিক পদ সহ সকল সাংগঠনিক পদ হতে বহিষ্কার করা হয়েছে। আপনি সংগঠনের পক্ষে কোনো সভা সমাবেশে যোগদান করতে পারবেন না বা প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। বিষয়টি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খুলনা মহানগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুজগুন্নি বাস্তুহারা এলাকার বাসা থেকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক হালিমা রহমানসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত শুক্রবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ওই হামলার ঘটনায় ৯জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
খালিশপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিদের ধরতে মুজগুন্নি বাস্তুহারা এলাকায় হালিমা রহমানের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওই বাসা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি পলাশসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়। কিন্তু তাদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে হামলা চালান হালিমাসহ তার সহযোগীরা। তাদের হামলায় ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি পলাশ পালিয়ে যায় । উক্ত ঘটনায় পুলিশ হালিমাসহ তার ১৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করে । গ্রেফতারদের মধ্যে ইয়াসিন ও মিনার নামে দুজন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগে ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে খালিশপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA