বিজ্ঞপ্তিঃ

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, কোটা আন্দোলনের নামে ছাত্রদের সামনে রেখে যে গোষ্ঠী দেশকে নরকে পরিণত করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের ভিতরে অনুপ্রবেশকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা দলের লেবাস পরে আন্দোলনে সহযোগীতা করেছে তাদের ক্ষমা নেই। তিনি আরো বলেন, যাদের দেশপ্রেম নেই তারাই কেবল এ জাতীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। ওরা দেশ ও জাতির উন্নয়ন চায় না। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত বিএনপিকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়নকে ধ্বংস করার লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নরসিংদী কারাগারে হামলা করে জঙ্গীদের ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা এখানেই থেমে নেই। সামনে আরো ধ্বংসযজ্ঞের পরিকল্পনা নিয়ে ঘাপটি মেরে আছে। ওদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি দলের নেতাকর্মী ও দলীয় কাউন্সিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, জুম্মাবাদ ওরা জঙ্গী তৎপরতা দেখাতে পারে। ওদেরকে প্রতিহত করতে প্রত্যেক মসজিদে সকলকে জুম্মার নামাজ আদায় করতে হবে। কোন অবস্থাতেই তাদের নৈরাজ্য করতে দেয়া হবে না। সবাইকে সজাগ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল জঙ্গী তৎপরতাকে প্রতিহত করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানার পরিচালনায় এসময়ে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, হাফেজ মো. শামীম, এস এম আনিছুর রহমান, মো. ফায়েজুল ইসলাম টিটো, জামিরুল হুদা জহর, জিয়াউল আলম খান খোকন, আব্দুস সাত্তার লিটন, ইমরুল হোসেন ও এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও নৌ—পরিবহন মালিক গ্রুপের সহ—সভাপতি শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. আশরাফুল ইসলাম, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, শেখ ইউনুছ আলী, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. শেখ আনিছুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ মো. মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম রেজওয়ান, আলী আজগর মিন্টু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, শেখ আবিদ হোসেন, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম বাশার, তসলিম আহমেদ আশা, শহিদুল ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ দাউদ হায়দার, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.মোতালেব হোসেন, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, রনজিত কুমার ঘোষ, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এ্যাড. শেখ শামীম আহমেদ পলাশ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, এস আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. ইব্রাহিম খলিল ইমন, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, আইরিন আক্তার নিপাসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি—সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত দলীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ২৭ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুবার্ষিকী পালন, শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে ১ আগস্ট সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জলন, ৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালন, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকী পালন, ১১ আগস্ট এস এম এ রবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন, ১৫ আগস্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন, ২৪ আগস্ট আই ভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন, ২৫ আগস্ট এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন, ৬ সেপ্টেম্বর কামরুল ইসলাম কুটুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা। ১৫ আগস্ট সকাল ৯টায় শোক র‌্যালী, জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিতকরণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং আলোচনা সভা করা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ অনুরূপ কর্মসূচী পালন করবে।