• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

×

কারফিউ শিথিলে ফিরেছে স্বাভাবিক অবস্থা

  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৪৮ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক :
খুলনায় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলে ফিরেছে স্বাভাবিক অবস্থা। বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারফিউ শিথিলের এ নোটিশ জারি করা হয়। একই সাথে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহলও বজায় রয়েছে। এতে সকাল থেকে অন্যান্য সময়ের মতই নগরীতে সাধারণ মানুষের চলাচল ও কাজকর্ম বেড়েছে। অফিস আদালতের পাশাপাশি খুলেছে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চলছে ইজিবাইক, রিক্সা, সিএনজি ও টেম্পুসহ সব ধরনের যানবাহন। নগরীর প্রধান দুই বাস টার্মিনাল সোনাডাঙ্গা ও রূপসা থেকে আন্ত:জেলা এবং দুরপাল্লার বাস ও পরিবহন ছেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনের কারফিউ ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কাটিয়ে সর্ম্পূণভাবে স্বাভাবিকতায় ফিরেছে খুলনা। তবে খুলনায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে তেমন কোন সন্ত্রাসী ও নাশকতার ঘটনা না ঘটায় একপ্রকার শান্তির্পূণ অবস্থা বজায় ছিল। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আলীফ রেজা জানান, মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের র্কাযালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। সভায় খুলনা মহানগর, জেলা ও উপজেলার আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চলমান কারফিউয়ের বিষয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

পরে এ বিষয়টি সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করা হয়। তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা ৬টার পরে কারফিউ আবারও বলবৎ করা হবে। একই সাথে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহলও অব্যাহত থাকবে। তিনি সবাইকে কারফিউয়ের সময় ঘরের বাইরে না যেতে ও নিয়ম মেনে চলার আহবান জানান। তবে জরুরী সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এর আওতামুক্ত থাকবে।

খুলনা চেম্বারের পরিচালক মো: মফিদুল ইসলাম টুটুল জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে এই ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস আগে কখনও হয়নি। এই সন্ত্রাস ও নাশকতার কারনে সরকার সারাদেশে কারফিউ জারি করে। আবার মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কারফিউ শিথিল করেছে। বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ ব্যবসায়ীরা খুবই আতংকগ্রস্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ব্যবসা বানিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এখন কিছু কিছু শিথিল করার জন্য ব্যবসায়ীরা পুনরায় দোকানপাট খুলেছে। মানুষের দূর্ভোগ হচ্ছিল, ব্যবসায়ীরাও কষ্ট পাচ্ছিল। আশাকরি আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যবসা-বানিজ্য পুনরায় পুরোপুরি চালু হবে।ব্যবসায়ের প্রধান বিষয় হলো আইন-শৃঙ্খলার সুষ্ঠু অবস্থা বজায় রাখা। পরিবেশ স্বাভাবিক না হলে কোনভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্য করা সম্ভব নয়। আশা করি সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, অচিরেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য পূনরায় চালু করতে পারবো। তবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্টান ক্ষতিগ্রস্থ ও ইন্টারনেট না থাকায় ব্যবসায়ীদের আমদানী-রপ্তানীসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বহু পচনশীল দ্রব্য নষ্ট হয়ে গেছে। আর্ন্তজাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেকের মালামাল বন্দরে পড়ে রয়েছে, তারা খালাস করতে পারছে না। এটা অপুরনীয় ক্ষতি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য অচিরেই সরকার পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবী জানান তিনি।

উল্লেখ্য, কোটা বিরোধী আন্দোলনের জের ধরে সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতার কারনে আইন-শৃঙ্খলা ও জনগনের জানমাল রক্ষায়  গত ১৯ জুলাই দেশব্যাপী কারফিউ জারি এবং সেনা মোতায়েন করে সরকার। এ সময় খুলনায় দুই শতাধিক সেনা সদস্য, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও প্রয়োজণীয় সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ এবং সশস্ত্র ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA