ঢাকা অফিসঃ

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দীনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আন্দালিব পার্থের ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল মানবজমিন’কে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় তাকে আদালতে চালান করে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ। তাকে আটকের বিষয়টি বৃহস্পতিবার সকালে নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বিকাল ৩টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ পার্থকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় পার্থের পক্ষে ব্যারিস্টার আলী বাশার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় থেকে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। পপুলার ম্যান, এজন্য তাকে ভিকটিমাইজড করা হয়েছে।

তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। রিমান্ড নামঞ্জুর করে সম্মানের সঙ্গে তাকে জামিন দেয়া হোক। এসময় আইনজীবী আদালতকে জানান, পার্থ কিছু বলতে চান।

এরপর আন্দালিব পার্থ আদালতকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, রাজনৈতিক জীবনে অল্প সময়ে আল্লাহর রহমতে অনেক মানুষের বিশ্বাসের জায়গায় যেতে পেরেছি। আমাদের মতো যারা পজিটিভ রাজনীতি করে, তাদের দেখে যেন আরও দশটা ছেলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসে এটাই চাওয়া। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন হোক। রাজনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। রাতারাতি একটা দেশ পরিবর্তন হয় না। দেশের চলমান রাজনীতির পরিস্থিতির কারণে একটা জেনারেশন রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন যেটা কাম্য নয়। এখন একমাত্র আল্লাহর ওপরই ভরসা।’ এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত পার্থের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিচারক বলেন, এ মামলায় এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা একেবারেই অনাকাক্সিক্ষত। এখানে ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এটা সত্য। মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও দণ্ডবিধির পৃথক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে যেগুলো জামিন অযোগ্য।