বিজ্ঞপ্তিঃ
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘৭৫ পরবর্তীতে যখন আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ উচ্চারণ করতে ভয় পেত, সে সময় দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন তার মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। মোস্তফা রশিদী সুজা জেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করে দলকে সুসংগঠিত করে শক্তিশালী করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ২০০৩ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে শারীরিকভাবে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়। ড্রিল মেশিন দিয়ে তাঁর পায়ের হাঁড় ছিদ্র করা হয়। সে সময়ের বিভীষিকাময় নির্যাতনের ফলে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাময়িক সুস্থ হলেও তিনি পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার ফলে তিনি অসময়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি আরো বলেন, তার সুদক্ষ নেতৃত্বে খুলনা ব্যাপী অসংখ্য নেতাকর্মী তৈরি হয়েছিলো সুজা আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার অসংখ্য নেতাকর্মী আজ খুলনার রাজনীতির বিভিন্ন অঙ্গনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এসকল নেতাকর্মীদের কাজের মাধ্যমে সুজা আমাদের মাঝে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে। নির্যাতনের মাধ্যমে সুজাকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।

গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় নগরীর আবহানী ক্লাবে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মরহুম এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার সুযোগ্য পুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালিদীন রশিদী সুকর্ণ। পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ। এসময়ে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু ও এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য অসিত বরণ বিশ্বাস, মরহুমের ছোটভাই ও ৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম মোজাফফার রশিদী রেজা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসনে আরা চম্পা, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকুজ্জামান অশোক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার ও সাংবাদিক সাহেব আলী। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুর রহমান রিপন, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, পারভেজ হাওলাদার, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, কাউন্সিলর খোরশেদ আহমেদ টোনা, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, ড. সাঈদুর রহমান, শিউলি বিশ্বাস, তরিকুল ইসলাম সুমন, রেজাউল করিম রেজা, মো. আমিরুল ইসলাম বাবুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠান শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা শাহাদাৎ হোসেন।