• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

×

শোকাবহ আগষ্টের দ্বিতীয় দিন আজ

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩০ পড়েছেন
মোঃ জিলহাজ হাওলাদারঃ
“আজি শ্রাবণ ধারায় ধৌত বরষা, আজি শ্রাবণ ধারায় সিক্ত মনীষা। আজি শ্রাবণ ধারায় দীপ্ত পল্লব, আজি শ্রাবণ ধারায় বৃষ্টি কলরব”- এর মাঝে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিতরা। সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই। শোকগাঁথা রক্তাক্ত আগস্টের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন ১৯৭৫ সালের এই দিন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে গর্বিত বাঙালী জাতীর ইতিহাসে কলঙ্কিত কালো অধ্যায় রচনা করেছে। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর সাবেক কৃষিমন্ত্রী শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী বেগম আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু থেমে থাকেনি একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিতরা ও তাদের দোসর খুনিরা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এ ঘটনায় কানের সমস্যাজনিত কারনে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। সেদিনের গ্রেনেডের স্পিøন্টার এখনও শরীরে বহণ করে বেড়াচ্ছ অনেকেই।
খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, এদেশের কিছু সংখ্যক বিপদগামী সেনা সদস্য ১৫ আগস্ট ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে পৃথিবীর ঘৃনিত, পৈচাসিক ও অমানবিক হত্যাজঙ্গ ঘটিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করে। খুনিরা শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কে হত্যা করেনি! এ হত্যার মাধ্যমে বাঙালীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। এ জঘন্যতম হত্যাকান্ডের নেপথ্যে ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান। সেদিন স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে খুনি মেজর জিয়া সেনাপ্রধান হতে পারতো না। অস্ত্রের জোরে রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারতো না। এদেশে আগুনসন্ত্রাস বিএনপির জন্ম হতো না। গৃহীনি থাকতো খালেদা জিয়া। তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি তাদের পূর্বের রুপে বারবার ফিরে এসে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছে। এ দেশের উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করছে। আগুনে পুড়িয়ে সাধারণ মানুষদের হত্যা করছে। সম্প্রতি কোট আন্দোলনের নামে সাধারণ ছাত্রদের উপর ভর করে পুলিশ হত্যা, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা ও পথচারীদের হত্যা, বেতার ও বিটিবি ভবনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তাদের চারিত্রিক পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। যা মুক্তিযুদ্ধের ধংশলীলা ও হত্যাযজ্ঞকেও হার মানিয়েছে।’ জিয়া মরে গিয়ে বেঁচে গেলেও এদেশেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। শোকাবহ আগস্টে শোককে শক্তিতে পরিনত করে সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করবে এদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।
শোকাবহ আগষ্টের প্রথম প্রভাতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় নগরীর শঙ্খ মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এর মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের ৪০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি শুরু হয়েছে। দুপুর ১২ টায় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক মিছিল বের করে নগরীর প্রদান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। সন্ধ্যায় শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ বেদীতে মোমবাতি প্রজ্জলন করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA