• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন

×

খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ : পুলিশ সদস্য নিহত

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৯ পড়েছেন

# পুলিশের গাড়িতে আগুন
# গুলিবিদ্ধ অনেকে
# ছাত্রদের সাথে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ

দেশ প্রতিবেদক :
খুলনার গল্লামারী মোড়, জিরো পয়েন্ট এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা) অবস্থায় ৭ জনসহ ১৬ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল মো. সুমন নিহত এবং বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিববাড়ী থেকে সোনাডাঙ্গা থানা মোড় হয়ে গল্লামারী যায়। পরে বিকেল চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি দল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান করে। আরেকটি দল জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এসময়ে মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দেরও দেখা যায়। এ সময় নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

বিকাল ৪ টার দিকে পুলিশ কিছুটা পিছু হটে। কিছু পুলিশ জিরো পয়েন্ট এলাকায় এবং কিছু পুলিশ গল্লামারী মোড়ে অবস্থান নেয়। কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পুলিশ কিছুটা পেছনে সরে আসতে বাধ্য হয়। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের পর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ের দিকে যেতে চাইলে বিকাল ৬টায় গল্লামারী মোড়ে আরেকদফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ মুর্হুমূর্হু টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সোনাডাঙ্গা থানার সামনে এসে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা থানার মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তবে পুলিশ এ সময় থানার ফটক বন্ধ করে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সংঘর্ষের পর সিরাজুল ইসলাম, আবির, নীরব, নাবিল, মিজান, সৌরভ, আবদুল্লাহ, রায়েব সুলতানা রাইবা এবং রুবিনা ইয়াসমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা গুলি লেগেছে।

নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা থানার গেটে কিছু ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছিল। এতে কেউ আহত হয়নি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালন করা কথা ছিল। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। মো. সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহান ও রাজু আহমেদসহ অনেক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল শাহরিয়ার দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ওপর পুলিশ অহেতুক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে অনেকে আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঠিক সংখ্যা পরে জানানো হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA