• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

×

খুলনায় নিহত কনষ্টেবল সুমনের স্ত্রীর আহাজারি “আমার বেচেঁ থাকার আর ঠিকানা রইলো না”

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৫ পড়েছেন

“আমার বেচেঁ থাকার আর ঠিকানা রইলো না”

দেশ প্রতিবেদক:

আমার সব শেষ হয়ে গেল, আমার বেচেঁ থাকার আর ঠিকানা রইলো না। একথা বলতে বলেতে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন খুলনায় নিহত পুলিশ কনষ্টেবল সুমন কুমার ঘরামী স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। শনিবার দুপুরে স্বামীর মরদেহ নিয়ে বাগেরহাটের কচুয়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ লাইনে এ দৃশ্য দেখা যায়। শনিবার সকালে নিহত কনষ্টেবল সুমন কুমার ঘরামীর বয়রা ইসলামীয়া কলেজ রোডস্থ বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন জানান, পরিবারের সদস্যরা পুলিশ লাইনে অবস্থান করছে। সেখানে গিয়ে কথা হয় সুমনের শশুর নবীন বিশ্বাসের সাথে। তিনি কেদেঁ বলেন একমাত্র নাতনী ছয় বছরের স্নিগ্ধা সারারাত কেঁদেছে। কিছুক্ষণ পর পর বাবা বাবা বলে চিৎকার করছে। সুমনের আদরের ধন ছিল স্নিগ্ধা। ওকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন ছিলো। আজ সব শেষ হয়ে গেল, ওর ভবিষ্যত কি হবে। লাশ বাহী গাড়ীর পাশেই একটি মাইক্রোবাসে নানার কোলে বসেছিলো শিশু স্নিগ্ধা। শিশুটি চিৎকার করে বলছিলো ‘আমি এই গাড়িতে যাবোনা, আমি বাবার গাড়িতে যাবো। আর স্নিগ্ধার মা মিতু বিশ্বাস উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা, আত্মীয়স্বজন যাকেই পাচ্ছেন তাকে জড়িয়ে ধরে, পায়ে ধরে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। তার আহাজারি দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেনি আত্মীয়স্বজন ও উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কনষ্টেবল সুমন কুমার ঘরামীর পোষ্টমার্টেম শেষে মরদেহ পুলিশ লাইনে আনা হয়। সেখানে তিনিসহ কেএমপির উর্দ্ধতন কর্মকতার্ ও সহকমীর্রা গার্ড অব অনার প্রদান ও ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। নিহত সুমন কুমার ঘরামী সৎকারের জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং পরিবারের কাছে সহায়াতা স্বরূপ ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। সুমনের পরিবারে কেউ শিক্ষিত কেউ থাকলে পুলিশে চাকরির উপযোগী কেউ থাকলে তাকে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। কেএমপি আজীবন পরিবারটির পাশে থাকবে।

এরপর সুমনের শ্বশুর নবীন বিশ্বাস ও শাশুড়ি স্বপ্না রানী মরদেহ গ্রহণ করেন। এখান থেকে মরদেহ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কিসমত মালিপাটন গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় সৎকার করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।সহকারী কমিশনার (এসি) সৌমেন বিশ্বাস জানান, নিহত সুমন তার দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA