• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

×

খুলনায় আন্দোলনকে ঘিরে বর্বরতা

  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৪ পড়েছেন

#খুলনায় আ’লীগ কার্যালয় , সংসদ সদস্যের বাড়ি, প্রেস ক্লাব ভাঙচুর
#জেলা পরিষদ, এলজিইডি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গাড়ি ভাঙচুর
#সাংবাদিকদের চারটি মোটর বাইকে আগুন
#আওয়ামীলীগের তিন নেতা গুরুতর আহত

দেশ প্রতিবেদকঃ

খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডে অবস্থিত সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন ও শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ ঘটনা ঘটায়। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর লেয়ার যশোর রোডের খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। বিকালে চার—পাঁচশত জনের একটি হামলাকারী বাহিনী খুলনার বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা এবং নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। জখম অবস্থায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, কেসিসির কাউন্সিলর কনিকাসহ আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিছু আন্দোলনকারী পিকচার প্যালেস মোড় থেকে ওদিকে যেতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মাঝে ককটেল ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটে। তারা কার্যালয় গিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং আসবাবে আগুন ধরিয়ে দেয়। কার্যালয়ের নিচে বেশকিছু মোটর সাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আন্দোলনকারীরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা, শেখ শাহজালাল সুজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের পর তারা নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের ভবনে ভাংচুর চালায়। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল সংগঠনটির সভাপতি। পরে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ নগর ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ভবনের কিছু কাঁচ ভেঙে যায়। তারা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে প্রবেশ করে সামনে থাকা ৪টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর মধ্যে একটি মোটর সাইকেল ছিল যমুনা টিভির খুলনা প্রতিনিধি প্রবীর বিশ^াসের। দুপুর দেড়টায় তারা খুলনা প্রেস ক্লাবে ভাংচুর চালায়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিতে আরেক দফা ভাংচুর করে প্রেস ক্লাবের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া গগণবাবু রোডে সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। তারা বাড়ির সামনের একটি মোটর সাইকেল ও চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। এদিকে, দুর্বৃত্তরা লাঠিসোটা , রড এবং অস্ত্র নিয়ে খুলনা জেলা এলজিইডি অফিস ভাঙচুর করে। ভাঙচুর করে খুলনা ক্লাব। ময়লাপোতা থেকে রুপসা পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি অফিস এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রায় চার থেকে পাঁচশত দুবৃর্ত্ত ভাঙচুর এবং হামলা করে। সন্ধ্যা ৫:৪৫ এর দিকে অবস্থান নেয় কেএমপির সামনে। এরপর ধাপে ধাপে সরে পরে দুবৃর্ত্তরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে নগরীর শেরে বাংলা রোডের শেখ বাড়ির সামনে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় ওই বাড়ির সামনে কোন পুলিশ বা নেতাকর্মী ছিল না। এক পর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা ভবনের প্রতিটি তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিকাল পৌনে তিনটার দিকে আগুন নিভে গেলে বেশ কিছু পুলিশ ও এপিবিএন এর সদস্যরা বাড়িতে আসেন। পরে যুবলীগের কিছুই নেতাকর্মীকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাড়ির সামনে আসতে দেখা যায়।

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংসদ সদস্যের বাড়িতে আরেক দফা হামলা হয়। হামলাকারীরা হামলা করতে করতে রুপসা পর্যন্ত আসে। রুপসার লোকজন জানান, রুপসার এলজিইডি অফিসসহ বেশ কয়েকটি হামলা,ভাঙচুর এবং লুটপাটন চালায় হাম লাকারীরা। সাধারন মানুষদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

 

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA