কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
কয়রা উপজেলার কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম, এম রেজাউল করিমের হত্যার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৭ আগষ্ট) বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার, কয়রায় আয়োজনে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোস্তফা শহিদ সরোয়ার, সহকারী শিক্ষক সমিতির আহবায়ক মোস্তফা জামাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন খোকা ,২নং কয়রা মধ্যবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর, কয়রা কাশির খালদার সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মদিনাবাদ মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন, মঠবাড়ি শান্তিময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস্কেন্দার আলী, বতুলতলা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদ হাসান, শিক্ষক বিল্লাল হোসেন, শহীদ হাসান মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, শোয়েব আলী, আনিসুর রহমান, আবু সাঈদ, হাসানুর রশিদ, আজাদ হোসেন, নিহতের কন্যা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার, স্ত্রী নাজমা খাতুন প্রসুখ। বক্তারা বলেন, আমাদের সহকর্মী রেজাউল ইসলাম একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ ছিলেন।
তার এর উপর দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৫ আগষ্ট নৃশংসভাবে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায়গত ৯ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।এ ঘটনায় ১৬ আগষ্ট তার মেয়ে ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে কয়রা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ০৪। মামলার এজহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপিত ও সম্পাদককে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধনকয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ ছাত্র— জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
এর পর থেকে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটু ও সাধারন সম্পাদক আবির হোসেন ফেসবুকের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন রাতুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অব্যাহত রাখায় চব্বিশ ঘন্টার মধ্য কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটু ও সাধারন সম্পাদক আবির হোসেনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে কয়রা উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রশাসনের কাছে এ দাবি জাননো হয়। শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধনে একত্বতা ঘোষনা করেন কয়রা সরকারি মহিলা কলেজ ও কপোতাক্ষ কলেজের শিক্ষকবৃন্দ এবং কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহসিন আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছাফুর রহমান,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াহিয়া জিসান,কপোতাক্ষ কলেজের শিক্ষার্থী তুহিন হাসান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ আবু তালহা,কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলী,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুছ সাকিব,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফউজ্বামান উজ্বল,কপোতাক্ষ কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম,কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুস। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন,সাংবাদিকতার আড়ালে তরিক লিটু ও আবির হোসেন কয়রা সাংবাদিক ফোরাম নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে এলাকায় মানুষকে জিম্মি করে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত। এখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা তাদের এই নীতি —নৈতিকতা পরিপন্থি কাজের বিরোধিতা করে গত ৯ আগস্ট বিবৃতি দিয়ে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। সেখান থেকে তারা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে এবং তারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,মানববন্ধনের খবর পেয়েছি।
তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।কয়রায় চাউলের দোকানে আগুন ৬ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাইকয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ কয়রা বাজারের আঃ রহিমের চাউলের দোকানে আগুন লেগে চাউলসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত ১৬ আগস্ট রাতে বিদুৎতের সট সার্কেট থেকে আগুন লাগে তার দোকানে ।
খবর পেয়ে উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রন আনে। এতে করে দোকানে রাখা ২ শ বস্তা চাউল পুড়ে গিয়ে তার ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আঃ রহিম জানিয়েছে। কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আঃ রহিম দোকানে বেচাকেনা শেষে তার দোকান বন্ধ করে বাড়ি যায়। রাতে যে কোন এক সময় বিদুৎতের সাটসার্কিট হতে আগুন ধরে দোকান পুড়ি গিযে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাজারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদেরকে সংবাদ দেয়। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক: আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক,মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন। সম্পাদক: মো: মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। আইটি ইনচার্জ : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । প্রকাশনা, বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ: "জাহান মঞ্জিল" ৪০, সিমেট্টি রোড (বেণী বাবু রোড), ফুলমার্কেট, খুলনা। dailydeshsanjog@gmail.com, sohagkhulna@gmail.com, online.deshsanjog.news@gmail.com যোগাযোগ করুন: info@deshsanjog.com</p>
দৈনিক দেশ সংযোগ