দেশ প্রতিবেদক আশাশুনিঃ

বিগত ৫আগষ্ট সন্ধ্যারাত থেকে শুরু করে অদ্যবদি দিনে ও রাতে উপজেলার বুধহাটা ও আশপাশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের যান মালের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিপদের সময় জামায়েত ইসলামী ও বিএনপি নেতাদের পাশে পেয়ে সর্বস্তরের মানুষ ভূয়সী প্রশংসা করেন তাদের। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের একদফা দাবীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণ রক্ষায় দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশের ন্যায় আশাশুনি উপজেলায়ও বের হয় আনন্দ মিছিল। এর মধ্যে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী মানুষ শুরু করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর।

আশাশুনি উপজেলার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষের যান মাল রক্ষার্থে দ্রুত অসহায় নিরীহ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান জামায়েত ইসলামী নেতা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, সিনিয়র আইনজীবী এড. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, ছাত্রশিবির নেতা শীষ মোহাম্মদ জেরী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র নেতা ফিরোজ আহমেদ জজ, রফিকুজ্জামান বকুল, এবং ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাহবুবুর আলম রিপন ও জাহাঙ্গীর আলম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্ররা। শুধু এখানেই শেষ নয়, থানার নিরাপত্তায়, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছেন তারা। রাতে নিরাপত্তা প্রদানকালে জামায়েত ইসলামী নেতা এড. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম। আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির নেতা শীষ মোহাম্মদ জেরী বলেন, বিগত এক যুগেরও বেশি সময় বিরোধী দল হিসেবে আমরা নির্যাতিত হয়েছি। নির্যাতনের ব্যাথা—কষ্ট কি, তা আমরা বুঝি। যে ব্যক্তি যে দলই করুক না কেন, জামায়েত ইসলামী ছাত্রশিবির কোন মানুষের উপর নির্যাতন হতে দেবে না, কারও ধন—সম্পদ লুট হতে দেবে না। ছাত্র—জনতার বিজয়কে কোন ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেবেন না বলে আশা ব্যক্ত করেন ছাত্রশিবির নেতা শীষ মোহাম্মদ জেরী। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছাত্র নেতা ফিরোজ আহমেদ জজ বলেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে ঐ সকল এলাকা রাতে নিয়মিত টহল অব্যহত রয়েছে। কোন ভাবেই লুটপাটকারীদের সফল হতে দেবো না। ছাত্রনেতা রফিকুজ্জামান বকুল বলেন, ছাত্র জনতার যৌথ আন্দোলনে শৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। বাংলার মানুষ সত্য কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে।

সদ্য স্বাধীন হওয়া এই দেশে আর কোন মানুষকে হয়রানি হতে দেবো না, কোন মানুষকে নিঃস্ব হতে দেবো না। ছাত্র জনতার অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের যান মাল রক্ষার্থে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। বুধহাটা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর আলম রিপন বলেন, শ্বেতপুর গ্রামের বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিরাতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোন অবস্থাতে কোন বিরোধী শক্তি এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না। কুল্যা ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল স্থানীয়দের পাশে থেকে পাহারার মাধ্যমে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে।ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিক জাতীয়তাবাদী যুবদল বলে মনে করে যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুর গ্রামের একাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে বলেন, জামায়াত ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিরাতে নিরাপত্তা দিতে রাত জেগে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এ অবদান কোনদিন আমরা ভুলবো না। গাবতলা গ্রামের বিশ্বনাথ মন্ডল এ প্রতিবেদককে বলেন, জামায়াত ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিরাতে যদি তাদের নিরাপত্তা না দিতেন তবে ঐ মুখোশধারী লুটপাটকারীরা এতদিন হয়তো সব লুট করে বাড়ী—ঘর সব দখল করে নিতো। তিনিও জামায়েত ইসলামী, ছাত্রশিবির, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ ছাত্র জনতার ভুয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ যতদিন পুলিশী টহল জোরদার না করবেন ততদিন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ আশাশুনি উপজেলা বাসীর নিরাপত্তায় তাদের পাশে থাকবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন এসকল নেতৃবৃন্দ।