• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

×

কোটচাঁদপুর কুশনা বাওড়ের মাছ হরিলুট, অসহায় বাওড় কর্তৃপক্ষ

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ১২ পড়েছেন
মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুরঃ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের কুশনা বাওড় থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। ২৩ আগস্ট, শুক্রবার সকালে ওই বাওড় থেকে মাছ লুট হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগটি করেছেন সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার হালদার।

জানা যায়, ২০১৮ সালে কোটচাঁদপুর উপজেলার ফুলবাড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি কুশনা বাওড়ের ইজারা পান। এরপর থেকে হালদার সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে মাছ চাষ করে আসছিলেন বাওড়টিতে।

গত ৫ আগস্ট থেকে বাওড়ে প্রতিনিয়ত মাছ লুটের ঘটনা ঘটতে শুরু করে। বিষয়টি হালদার সম্পদায়ের মানুষ স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করে। নেতারা তাদেরকে বাওড় থেকে আর কোন মাছ লুটের ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন। এরপরও গত বৃহস্পতিবার মাছ ধরেন তারা।

শুক্রবার সকালে বাওড়ে মাছ ধরার সময় দেখা যায় স্থানীয় এড়ান্দা গ্রামের আকবার আলীর ছেলে রকি, ইসাহাকের ছেলে মোশাররফ হোসেন, এরশাদের ছেলে জিয়া ও কলম বিশ্বাসের ছেলে মহসিন আলী সহ আরো ১৫-২০ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুশনা বাওড়ের গার্ড সাইফার রহমান ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল।

তারা বলেন, সরকার পতনের পর থেকে এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত প্রতিদিন বাওড়ে হুইল, ছিপ ও জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে মহাসিন ও রকিরের নেতৃত্বে আবারও মাছ লুট করে। ওই দুইজনের মধ্যে মহাসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ও রকি বিএনপি সমর্থিত বলে জানান তারা। ওই সময় তারা বাওড় থেকে ৫০ হাজার টাকার মাছ লুট করেছেন বলে দাবি মৎস্যজীবীদের।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মহসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন, তবে এখন আর নেই। বিএনপি কোন লুটপাটে বিশ্বাস করে না। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী বলেন, ওই মাছ লুটের ঘটনায় দলের যেই জড়িত থাকুক না কেন, প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন, বাওড় থেকে কে বা কারা মাছ লুট করছেন। এমন খবর জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে তার আগে লুটকারীরা পালিয়ে যান। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে কিছু লোক হুইল, সিপ দিয়ে মাছ শিকার করছিল তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA