• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

×

ভারী বর্ষণে ডুবেছে খুলনা, জলাবদ্ধতায় নাকাল নগরবাসী

  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭১ পড়েছেন
জলাবদ্ধতার শিকার খুলনা মহানগরী

শেখ শাহরিয়ারঃ

মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা যার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।

রবিবার ভোর থেকে থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়কসহ বেশির ভাগ সড়কই পানির নিচে।তলিয়ে গেছে মানুষের বসত বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বিরামহীন বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসগামী মানুষদের। ভোগান্তিতে পরেন পথচারীরাও।   সরজমিনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে কাঙ্ক্ষিত যানবাহনের জন্য। নগরীর রয়েল মোড়, বাইতিপাড়া সড়ক, সাতরাস্তা, বড় মির্জাপুর, টুটপাড়া এলাকায় সড়ক তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহন নিয়ে দুর্ভোগে পড়ে চালকরা। অনেক গাড়ির ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করায় বিকল হয়েছে। অনেক গাড়ি ঠেলে নিয়েও যেতে দেখা যায়। ফুটপাত দিয়েও অনেককে হালকা যানবাহন চালাতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত যান বাহন পাওয়াও যাচ্ছে না আর যদিও পাওয়া যায় ভাড়া অনেক বেশী চাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মানুষ।

খানজাহান আলী সড়কের বাসিন্দা মামুন বলেন,ভোর থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টির কারণে রয়্যালের মোড়, টুটপাড়ার সড়কে পানি জমে গেছে। যে কারণে চলাচল করতে খুবই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা রেহেনা খাতুন বলেন, বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে গেছে, এর কারণে মেয়েকে নিয়ে কোচিংয়ে যেতে পারিনি।

টুটপাড়া জোড়াকলের বাসিন্দা সুনিলা দাস বলেন, শহরের ড্রেন গুলি বন্ধ হয়ে আছে খুলনা শহরের বৃষ্টির পানি পাম্প দ্বারা রূপসা ও ভৈরব নদীতে ফেলে এই দূর্ভোগ কমাতে হবে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ভোর ৬ টা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সারাদিনই বৃষ্টিপাত অব্যহত  থাকবে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় থাকায় এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরেই বৃষ্টির সময় শহর জুড়ে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়, কেসিসি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গত ছয় বছরে ১০৪টি ড্রেন পুনর্র্নিমাণ করেছে। ময়ূর নদসহ সাতটি খাল পুনরায় খনন ও ৩২টি ড্রেনের সংস্কার চলেছে। এতে ব্যয় প্রায় ৫০২ কোটি টাকা। এ বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরও নগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA