• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

×

সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই,আমরা সবাই বাংলাদেশী -মিয়া গোলাম পরওয়ার

  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ৯ পড়েছেন

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা-৫ আসনের (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। আমাদের দ্বিতীয় পরিচয়, এদেশে আমাদের যাদের জন্ম হয়েছে আমরা সবাই বাংলাদেশী। একজন বাংলাদেশী নাগরিককে আমার দেশের সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে সকল ধর্মের নাগরিক সমানভাবে তা ভোগ করবে। আমরা তার কমবেশি দেখতে চাই না।”

তিনি বলেন, এ দেশের সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে এবং সকল ধর্মের মানুষ আওয়াজ তুলে বলবে আমরা এখানে সংখ্যাগুরুও নই, কেউ সংখ্যালঘুও নই, আমরা সকলেই সমান। আমি চাই এখানে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু কথার কবর রচনা হোক।” তিনি আরও বলেন, অনেক কষ্ট করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে পতন করে নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো প্রকার অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা পরিবেশ দেখতে চাই না। সব সময় জামায়াত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে। সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও তাদের সুরক্ষিত রাখতে মতবিনিময় সভাসহ সব খোঁজ খবর অব্যাহত থাকবে তিনি উল্লেখ করেন।  রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় খুলনা জেলার ফুলতলা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ফুলতলা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক গৌতম কুমার কুন্ডু সভাপতিত্বে ও বাবু অনুপম মিত্র এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ বাবু সমীর কুমার ব্রহ্ম, বাবু গৌরহরি দাস। বিশেষ মেহমান ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদি, শেখ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো। এতে বক্তব্য দেন আনন্দ কুমার স্বর, তাপস কুমার বিশ্বাস, মানস ঢালি, অজয় কুমার, বাবু প্রফুল্ল কুমার, সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দচন্দ্র নাগ, বাবু অমরেন্দ্রনাথ, বাবু রনজিত কুমার বোস প্রমুখ।

সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে হিন্দুবিদ্বেষী দল হিসেবে অপপ্রচার চালানো হয়। অথচ, দেশে হিন্দুসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে হিন্দুদের ব্যাপারেও দেশে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, সেটি হলো হিন্দু মানেই মনে করা হয় আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, জামায়াতকে যেমন হিন্দুবিরোধী অপপ্রচার দেওয়া হয়েছে, তেমনি হিন্দুদেরও আওয়ামী লীগের একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য হিন্দুদেরও যেমন জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে কাজ করতে হবে, তেমনি জামায়াতকেও হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ এই ‘তকমা’ দূরীকরণে কাজ করতে হবে। আমরা হিন্দুসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষায় জামায়াতের পক্ষ থেকে দুটি দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। প্রথমত, রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্বাধীন কমিশন করে হিন্দু সহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের বিচার করতে হবে।

যশোর জেলা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জামায়াতে ইসলামী দৃঢ প্রতিজ্ঞ। নতুন রাষ্ট্র নির্মাণে এই সরকারকে সহযোগীতা করার অঙ্গীকার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এই রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অসংগতি রয়েছে তা পুনঃগঠনে সময়ের প্রয়োজন। তাই জামায়াতে ইসলামী যতটুকু সময় প্রয়োজন এই সরকারকে সহযোগীতা করবে। সকল অসংগতিগুলো দূর হওয়ার পর একটি অবাধ ও সুষ্ঠ, গ্রহণ যোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করে। যার ভোট সে দিবে। এতে কেই বাঁধা হতে পারবে না। এই ভোটেরে মাঠ সৃষ্টি করতে যত অসংগতি আছে তা দূর করার জন্য এই সরকারকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহয়োগীতা করবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মাত্র এক মাসের আন্দোলনে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এ আন্দোলনে এক হাজারের বেশি শহীদ হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে। সারাজীবন তাদের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে (বিডি হল) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের  পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি  অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুসের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা মোবারক হোসাইন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, যশোর সাংগঠনিক জেলা পূর্ব আমীর মাওলানা আব্দুল আজীজ, যশোর সাংগঠনিক জেলা পশ্চিম আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, নড়াইল জেলা আমীর এডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু, শহর সাংগঠনিক জেলা নায়েবে আমীর বেলাল হুসাইন, শহীদ ইমতিয়াজের গর্বিত পিতা নওশের আলী ও শহীদ তৌহিদুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।

সেক্রেটারি জেনারেল অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রথমেই তিনি শহীদদের পরিবারের সদস্যদেরকে বুকে টেনে নেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তিনি তাদের পরিবারের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং শহীদদের শাহাদাৎ কবুলের জন্য দোয়া করেন। মহান আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ধৈর্য ধারণের তৌফিক কামনা করেন। তিনি শহীদের পরিবারের সদস্যদের হাতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা করে তুলে দেন।

শহীদদের পরিবারকে সান্তনা দিতে গিয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র-জনতা দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পতনের জন্য যে আন্দোলনের বীন বাজিয়ে ছিল সেই আন্দোলনে শরিক হয়ে এদেশের হাজারো ছাত্র-জনতা শাহাদাৎ বরণ করেছে। জীবন-মৃত্যুর মালিক একমাত্র সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ তায়ালাই। যারা দেশের প্রয়োজনে, স্বৈরশাসক উৎখাতের জন্য জীবন দিয়ে ইমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদেরকে যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষ স্মরণ করবে। হকের জন্য তারা জীবন দিয়েছে। তাদের কে কেউ মৃত্যু বলিও না। বরং তারা জীবিত।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। আহতরা হাত হারিয়ে পা হারিয়ে চোখ হারিয়ে বিছানায় চোখের পানি ফেলছে, তাদের চোখের পানি এখনো শুকায়নি। এখন ভোটের জন্য আপনারা ব্যন্ত হবেন না। কারণ আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় না থাকলেও বিদেশে বসে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখে তারা দুই দুইবার পাল্টা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। দেশের জনগণ তা প্রতিহত করেছে।

শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি সন্তান হারিয়েছেন, স্বামী হারিয়েছেন, স্বজন হারিয়েছেন মন খারাপ করবেন না, আপনি সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে গর্বিত ও সম্মানিত। দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনার সন্তান প্রিয়জন শাহাদাত বরণ করেছেন তারা আল্লাহর কাছে অবশ্যই শহীদের মর্যাদা পাবেন। বাংলাদেশ আপনার স্বজনদের রক্তের বিনিময়ে পূরনায় স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপনাদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাল্লাহ। শহিদ পরিবারের অভাব অভিযোগ অবশ্যই দূর হবে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা-সৈনিকের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার পরাজয় হয়েছে এবং বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়েছে। অর্জিত বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার সুবাতাস অনুভব করছি। দেশের মানুষ স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে। বিজয়ের পরে দেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের বাড়ি ঘরে, উপাসনালয়ে হামলার নাটক সৃষ্টি করে প্রতি বিপ্লব ঘটানোর পায়তারা করেছিল পরাজিত শক্তি। জামায়াত দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছে। বিষয়টি বিশ্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে যে সময় লাগবে। আমরা সেই সময় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দিতে রাজি আছি। সংস্কারের পরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে কেউ বলবে না, যে আপনাদের ভোট হয়ে গেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে। সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার যাতে স্থায়ীত্ব পেতে না পারে সে জন্য চক্রান্ত চলেছে। মিলিটারী ক্যু, জুড়িশিয়ালী ক্যু শুধু নয় নতুন নতুন চক্রান্ত করে এই সরকারকে হটাতে চাচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধোয়া তুলেছিল জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু সকল চক্রান্ত নস্যাত করেছে জামায়াত-শিবির। বাংলাদেশের মন্দিরে মন্দিরে জামায়াত-শিবির পাহারা দিয়েছে। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশী। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, মুসলমান সকলের এই দেশ। বাংলাদেশে সমান অধিকার নিয়ে বসবাসের অধিকার সবার আছে। মূলত হিন্দুদের জমি দখল, মন্দির ভাংচুর, নির্যাতনের যত ঘটনা সবিই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ  ও ছাত্রলীগ ঘটিয়েছে। মূলতঃ এরাই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধোয়া তুলে সেক্যুলারদের নিকট ইসলামকে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে চেয়েছিল। তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবশিত হয়েছে। তাই তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেই প্রজ্ঞাপন দেওয়ার ৪ দিনের মধ্যে সমূলে পলায়ন করেছে। তারা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল। এখন তারাই বাংলাদেশ থেকে জনগণ নিষিদ্ধ করে দিল।

তিনি আরও বলেন, মেধা যোগ্যতার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করবে এদেশের তরুণ সমাজ। এখানেও আমরা কোনো ব্যবধান বরদাশত করবো না। এই আঙিনাকে আমরা পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। আমি শুধু আমাদের কথা বলছি না। আমি বলবো যারাই রাজনীতি করেন মেহেরবানী করে একটা রাজকীয় মন নিয়ে আসেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, দেশের জনগণ ১৫টি বছর ধরে হত্যা, খুন, গুম সহ চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন, ব্যবসা হারিয়েছেন ও সম্পদ হারিয়েছেন। আমরা যেটি দীর্ঘদিন যাবৎ করতে পারিনি এই ছাত্র আন্দোলন এক মাসেই তা করে দেখিয়েছে। তাই নির্বাচন নিয়ে কোন ব্যস্ততা নয়। দেশি-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে সহযোগী করা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।

মাওলানা মোবারক হোসাইন বলেন, আমি পাঁচটি বছর ধরে এই যশোরে সাংগঠনিক সফরে যাতায়াত করছি। কিন্তু ঐতিহাসিক এই বিডি হলের মত খোলা জায়গায় আমাদের কথা বলার পরিবেশ ছিল না। আজ আমি এখানে কথা বলতে পেরে আবেগ আপ্লুত। তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৫টি বছর ঘরে ঘুমাতে পারি নাই। আমাদের নেতা-কর্মীরা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আজকে স্বাধীনভাবে কথা বলার এই কৃতিত্ব দেশের সাহসী ছাত্র-জনতার। তারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আমরা তাদের কাছে ঋণী। এখন আমাদের দায়িত্ব একটি দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার। জামায়াত ইসলামী সেই কাজটি করে যাচ্ছে।

শহীদ পরিবারের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করেন শহীদ ইমতিয়াজ হোসেন রাজিবের পিতা নওশের আলী ও শহীদ তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। এসময় অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA