• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

×

খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি রক্ষায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৬ পড়েছেন
দেশ প্রতিবেদকঃ
খুলনা জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের অফিস কক্ষে ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদকের আহবানে নিম্ন বর্ণিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আজ  সকাল ১০টায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডস্থ অফিসে এক জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিটের সহ সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান।
সভায়  সাধারন সসম্পাদক হুমায়ুন কবির উপস্থাপন করেন, জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের ৩০ টি দোকানঘরের মধ্যো ভাড়াটিয়ারা ৭টি দোকানঘর চুক্তি অনুযায়ী দোকান করিয়া আসিতেছে। বাকী দোকানদাররা চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া দিতে অস্বীকার করিয়া অসিতেছে। চুক্তি অনুযায়ী তাদের বরাবর নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ভাড়া দিতে অস্বীকার জানায়। খুলনা জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউট ৫ টি জুট মিলের ৫০ হাজার  শ্রমিকদের অর্থায়নে কেনা সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্ত্বি নিয়া হাইকোর্টে স্থগিত আদেশ চলমান আছে। স্থগিত আদেশ ও মামলা নং- ১৪৪৩৯/২০১৮ হাইকোর্টে রিট পিটিশন আছে। বিজ্ঞ ল্যান্ড  সার্ভে আপীল ট্রাইব্যুনাল (জেলা জজ আদালত), খুলনা নং- ১৬১/২৪ মামলাটা চলমান থাকা সত্ত্বেও কিছু দুষ্কৃিতিকারী দোকানদাররা দোকান মালিকানা চাহিয়া হাইকোর্টে বিভাগের ৮৯৫৯/২০২২ নং রিট পিটিশন করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্বারক নং- ০৫.৪৪.৪৭০০.০৩১.৪৯২.২০২২-১৯০৬ জেলা প্রশাসক হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন ১৪৪৩৯/২০১৮ চলমান থাকায়, বিঞ্জ আদালত উক্ত রীট পিটিশনের আদেশ স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করার দোকানদারদের অনুকুলে দোকানগুলো বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন। অতঃপর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকদের নিয়ে ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম সজল ও আতিয়ার সহ কিছু দুষ্কৃতিকারী দোকানদার দোকান ভাঙ্গিয়া একাধিকবার দখল করিলে প্রশাসন, থানা ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আবার দোকান বন্ধ করে দেন। গত ২২/০৮/২৪ তারিখে আনুমানিক ১১ টার দিকে দুষ্কৃিতিকারী, দখলদার দোকানদার তালা ভাঙ্গিয়া আবার দোকানঘর দখল করে। ইতিমধ্যে আমরা থানায় ২২/০৮/২০২৪ তাং একটি অভিযোগ দায়ের করিয়াছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বৈঠকের পরও তারা শ্রমিকদের সম্পত্তি আত্মস্বাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগের কর্মী বলিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের দ্বারা শ্রমিক নেতাদের ভয়-ভীতি দেখায় এবং মারধর করে। খালিশপুর থানায় মারধরের একটি মামলা চলমান। এখন এই আওয়ামী লীদের দোকানদাররা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে ও ভুল তথ্য প্রদান করে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের চাঁদায় ক্রয়কৃত জমি ও দোকান দখল ও লুটপার্টের মাধ্যমে দখলে নিয়েছে। এই দখলদারদের হাত থেকে দোকানঘর ও জমি রক্ষা করার জন্য ছাত্র জনতার সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে গত। ২২ আগষ্ট খালিশপুর থানায় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।  সভায় মোঃ আবুল কালাম জিয়া, মোঃ আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ, মোঃ মাসুম গাজী, জয়নাল আবেদীন, হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, সেলিম শিকদার,খলিলুর রহমান, জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর মোঃ ডিয়ার সহ নেতৃবৃন্দ সম্পত্তি রক্ষা এবং দোকান ঘর উদ্ধারে নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহনে  একমত পোষন করেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA