• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

×

মহাদুর্নীতিবাজ তালুকদার খালেকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের মামলার করার আহবান

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৫ পড়েছেন

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ

খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পতিত সরকার প্রধান খুনি হাসিনার দোসর খুলনা সিটির শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বিগত ১৬ বছর সীমাহীন দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। সততার মুখোশে আইন লঙ্ঘন করে অন্যের লাইসেন্সে নিজেই ঠিকাদারি করতেন। তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে গত কয়েক বছরে প্রায় ৬০কোটি টাকার কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া ৫ শতাংশ কমিশনের ভিত্তিতে আরও প্রায় শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজ বড় ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করেছেন। আবার লাইসেন্স ছাড়াই পছন্দের ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের নেতা ও কাউন্সিলরদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকার কাজ। মন্ত্রণালয়ের খরচের কথা বলে চার বছর দুই মাস ধরে কাজের বিলের ১ শতাংশ করে কেটে নিতেন ঠিকাদারদের কাছ থেকে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিএনপির মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমে তালুকদার আব্দুল খালেকের মহাদুর্নীতির চিত্র দেখে খুলনাবাসির ন্যায় বিএনপিও হতবাক হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, তালুকদার খালেকের দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ ছিলেন নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রকৌশলীরা। তুচ্ছ কারণে অকথ্য ভাষায় গালাগালে নগরবাসি ছিলেন বিব্রত। স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ (সিটি করপোরেশন)-এর ধারা ৯(২) অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার অথবা মেয়র বা কাউন্সিলর পদে থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের কাজ সম্পাদন বা মালপত্র সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন। অথবা তারা এ ধরনের কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা সিটি করপোরেশনের কোনো বিষয়ে তাদের কোনো ধরনের আর্থিক স্বার্থ থাকে। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বীরদর্পে ঠিকাদারি করেছেন তালুকদার খালেক।

হোসেন ট্রেডার্সের নামে তিনি ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিআইডিসি সড়কের একাংশ, ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রূপসা বেড়িবাঁধ সড়ক উন্নয়ন, ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কে ডি ঘোষ রোড, ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরাতন যশোর রোড, ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সিমেট্রি রোড, ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে নিরালা আবাসিক এলাকার পাঁচটি সড়ক উন্নয়নসহ ১৭টি সড়কের ঠিকাদারি করেছেন। আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্সের নামে ২ কোটি ৫১ লাখ টাকায় মুন্সিপাড়া তৃতীয় গলি, ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গগন বাবু রোড উন্নয়ন, তাজুল ইসলামের নামে খালিশপুর পিপলস মোড় থেকে গাছতলা মোড় পর্যন্তসহ আরও চারটি কাজ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তালুকদার আবদুল খালেক। কেসিসি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী হাবিবুন নাহার। কিন্তু খালেকই রামপাল ও মোংলা উপজেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। সভা-সমাবেশে অংশ নিতে রামপালে গেলে ব্যবহার করতেন কেসিসির গাড়ি ও তেল। নগর ভবনে বসেই ওই দুই উপজেলার সব ঠিকাদারি কাজ ভাগবাটোয়ারা, টিআর বরাদ্দ, উন্নয়ন কাজ কীভাবে হবে নির্দেশ দিতেন। ২০০৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, তালুকদার আবদুল খালেকের বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে নগদ টাকা ছিল ৫৭ হাজার ৫৫০। সম্পদ বলতে ছিল ব্যাংকে জমা ১৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে ২৮ লাখ টাকা।

কিন্তু গত ১৫ বছরে বহু গুণে ফুলেফেঁপে উঠেছে খালেকের সম্পদ। ২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খালেকের আয় ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৭০২ টাকা। তাঁর কাছে নগদ টাকা আছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ। চারটি ব্যাংকে তাঁর জমা ১ কোটি ১৮ হাজার টাকা। এর বাইরে ৩.২১ একর কৃষিজমি, ৩ কাঠা অকৃষিজমি, রাজউকের পূর্বাচলে একটি, কেডিএর ময়ূরী আবাসিকে একটি, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মুজগুন্নি আবাসিকে প্লট রয়েছে।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক তালুকদার আবদুল খালেক এর মহাদুর্নীতির বিরুদ্ধে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্টদের আইনী পদক্ষেপ গ্রহন আহবান জানান। একই সাথে দুর্নীতি কমিশনের প্রতি মহাদুর্নীতিবাজ খালেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন।  বিবৃতিদাতা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA