• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

×

জীবন বীমা কর্পোরেশনের ডিজিএম’র নিকট ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান 

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ১২ পড়েছেন
দেশ প্রতিবেদক:
খুলনায় জীবন বীমা কর্পোরেশনে (উন্নয়ন) উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজারদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবিতে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে প্রথমে সমাবেশ ও পরবর্তীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার জীবন বীমা কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ তৌহিদুর রহমানের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করেন বিভিন্ন শাখার অফিসার ও ম্যানেজারবৃন্দ। যে সকল দাবি তারা করেছেন তা হলো, ১৯৭৮ সালের সার্ভিস প্রবিধানমালা হুবহু বাস্তবায়ন করা, চাকুরীর ধারাবহিকতা প্রদান করা, ২০১৫ সালের পে-স্কেল নিঃশর্তভাবে বাস্তবায়ন করা, ২০১৯ সাল থেকে বীমা গ্রাহকদেরকে বর্ধিত হারে বোনাস প্রদান করা, হাইকোর্ট রিটকারী সৈয়দ আসিফ রাজা রাজ সহ সকল চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে পুনঃবহাল করা এবং প্রশাসনিক কাজে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ন্যায় আমাদের পদন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় ডিজিএম, উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, বীমা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত প্রায় ৫ হাজার উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজার এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই পেশার সাথে জড়িত ২০ হাজার বীমা প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পাহাড়সম বৈষম্য দূরী করণের লক্ষে এই সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দেশ স্বাধীনতার পর ৩৭টি ব্যাক্তি মালিকানাধীন বীমা কোম্পানীকে একত্রিত করে ১৬ কোটি টাকার দায়ভার মাথায় নিয়ে ১৯৭৩ সালে ৬নং আইন বলে জীবন বীমা কর্পোরেশন শুরু করে। বীমা পলিসি বিক্রয়ে নিয়োজিত উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমানত একত্রিত করে রাষ্ট্রীয় খাতে এই বীমা প্রতিষ্ঠানকে লাভ জনক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে কখনও ভর্তুকি দিতে হয়নি। অথচ যারা এই প্রতিষ্ঠানকে দেনামুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত করলো তাদেরকেই বঞ্চিত করা হচ্ছিল, ফলে উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজারদের দুর্বার আন্দোলনের মুখে উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজারদের জন্য সরকারের অনুমোদন ক্রমে ব্যবসায়িক স্বার্থে জেবিসি/এমডি/এস/৪৬৪১/৭৮ তারিখ- ০১/০৮/১৯৭৮ইং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বৈষম্যযুক্ত একটি স্বতন্ত্র সার্ভিস রুল প্রদান করেন। উক্ত সার্ভিস রুলে উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজারদের ন্যায্য পাওনা সুদীর্ঘ ৪৬ বছরে আজও বাস্তবায়ন হয়নি। যার কারনে ১৪ হাজার উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজার থেকে এখন অবশিষ্ট আছে প্রায় ৫ হাজার উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজার।
গত ৫ আগষ্ট অর্জিত হয় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার বিজয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে উন্নয়ন অফিসার ও উন্নয়ন ম্যানেজারবৃন্দ বৈষম্যমুক্ত কর্ম জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। তারা ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কসহ সকল সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষন সহ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখিত, তারা মনে করেন বৈষম্যগুলো দূর করতে পারলে বাংলাদেশের লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আলাউদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ, শেখ আবুল হাসনাত, আরিফুল ইসলাম, রোকসানা পারভিন, শাহিদা খাতুন, মর্জিনা খাতুন, মাহমুদা কামাল, সামছুল আলম সহ আরও অনেকে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA