• E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

×

শেখ বাড়ির সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ইমরান জাহিদকে নর্দান থেকে বহিস্কারের দাবি

  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪০ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদকঃ

খুলনার শেখবাড়ি হিসেবে পরিচিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের বাড়ির সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার (এনইউবিটিকে) সিনিয়র অফিসার ইমরান জাহিদকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারন শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সময়ে একাধিকবার এনইউবিটিকে এর রেজিস্টারের বরাবর এই অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বহিস্কার হচ্ছে না ইমরান জাহিদ। এতে ফুঁসে উঠেছেন আবেদনকারীরা।

এ ব্যাপারে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা (এনইউবিটিকে) এর রেজিস্ট্রার ড. শাহ আলম বলেন, ভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

‘ছাগল নাচে খুঁটির জোরে’ বলে একটি কথা চালু আছে। খুঁটির জোর না থাকলে নাকি কেউ সাধারণত নিয়মবহির্ভূত কাজ করার সাহস পায় না। পেছনে শক্তিমান কেউ থাকলে বেপরোয়া মনোভাব দেখানো সহজ হয়। তেমনি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও বেপরোয়া মনোভাব দেখাচ্ছেন ইমরান জাহিদ। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন দায়িত্বশীল তাকে শক্তি যোগাচ্ছে কিনা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিগত ৪ বছর ধরে ইমরান জাহিদ শেখ বাড়ির ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর মারাত্মক মানসিক নির্যাতন চালিয়ে এসেছে। এমনকি আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে অপহরনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন ইমরান জাহিদ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইমরান জাহিদকে চাদাবাজ সন্ত্রাস আখ্যায়িত করে অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন শিববাড়ির মোড় প্রাঙ্গন থেকে আমাদের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের চিহিৃত করে পরবর্তীতে তাদের পুলিশি হয়রানির ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি তার নিজ বাসায় আটকিয়ে নির্যাতনের ভয়ভীতিও দেখায় অনেক শিক্ষার্থীদেরকে। যা একজন স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না আমরা। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ইমরান জাহিদ আমাদের শ্রদ্বেয় পিতৃতুল্য শিক্ষার্থদেরকেও চাপের মুখে রাখেন যেন তারা আমাদের পাশে দাড়াতে না পারেন। এমনকি আমাদের প্রানের ক্যাম্পাসের মধ্যেই শিক্ষকদের হাত থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে কর্তন করে নিজ হাতে। বিগত চার বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করতেও চাপ সৃষ্টি করেন ইমরান জাহিদ। যা এতদিন ভয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। কিন্তু এখন আমরা এই চাদাবাজ ও সন্ত্রাসীকে আমাদের ক্যাম্পাস এ এক মুহুর্তের জন্যেও দেখতে চাই না। লোকমুখে শোনা যায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেকাংশই ভুয়া এবং শুধুমাত্র শেখ রুবেলের শ্যালক এবং শেখ বাড়ির আত্মীয় পরিচয়ে কোন প্রকার নিয়োগ বা পরীক্ষা ছাড়াই ইমরান জাহিদ এখানে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এটা একটি গর্হিত একটি কাজ। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে বিশ্ব বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী-শিক্ষকবৃন্দ মিলে আমরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিনিয়র কর্মকর্তা ইমরান জাহিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অবিলম্বে তাকে বহিস্কার না করলে আমার শিক্ষার্থী-শিক্ষকবৃন্দ মিলে আমরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।

সোমবার (২১ অক্টোবর) এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এটিএম জহির উদ্দীন কোন বক্তব্য না দিয়ে রেজিস্ট্রারকে ফোন দেওয়ার পরামর্শ দেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA