বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
দেশ প্রতিবেদক:
সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কাজের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর প্রগতি মানসিক রোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এখনই’।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ও উপাধ্যক্ষ ডাঃ ধীরাজ মোহন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার এস এম ফরিদুজ্জামান, ইউনিসেফ বাংলাদেশ খুলনার চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার মমিনুন্নেসা শিখা, সমাজসেবা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসনাহেনা, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মুহাম্মদ হাসানসহ এনজিও প্রতিনিধি, অভিভাবক ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন মানসিক স্বাস্থ্য রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আব্দুস সামাদ। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রগতি মানসিক রোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিধান বিশ্বাস।
বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্র ও মানসিক স্বাস্থ্য- এই দুটি বিষয় ঘনিষ্টভাবে জড়িত। সহযোগিতামূলক কর্ম পরিবেশ, কাজের উদ্দেশ্য ও দৃঢ়তা- এই বিষয়গুলো থাকলে কাজের গতি বাড়ায়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ঝুঁকি রয়েছে। কর্মীর বৈষম্য, খারাপ কাজের পরিস্থিতি বা সীমিত স্বায়ত্তশাসন যা মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র হতাশা এবং উদ্বেগের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১২০০ কোটি কর্মদিবস নষ্ট হয়। কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপকে বুঝতে এবং তা মোকাবিলা করার জন্য ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে আমরা সুস্থ কর্ম পরিবেশ তৈরি করা, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা, পর্যাপ্ত বিরতি ও বিশ্রাম নিশ্চত করা, অফিস সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চর্চা করা, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা এবং মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট প্রোগ্রাম চালু করার মাধ্যমে আমরা মনের যত্ন নিতে পারি। বক্তারা আরও বলেন, যারা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, রিহ্যাব সেন্টার, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এজন্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কাজের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারলে কাজের মান বৃদ্ধি পাবে। সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA