গত রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে দৌলতপুরস্থ পাবলা সবুজ সংঘ এলাকার বাসিন্দা মৃত হামিদ মুন্সির বিধবা মেয়ে মর্জিনা বেগম (৫৫) নামের এক নারীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নগদ ২ লক্ষ টাকা, ৫ ভরি গহনা, জমির পর্চা, ব্যাগ ভর্তি পরিধেয় পোষাক সহ ট্রেভেল ব্যাগ নিয়ে এক রিকসা চালক চম্পোট দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত ২০ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে দৌলতপুর শামিম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর বাম পাশের মোড় থেকে রিকসা যোগে নিজ বসতবাড়ি পাবলা সবুজ সংঘ এলাকার দিকে রওনা দিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌছার পর রিকসা থেকে নামার সংঙ্গে সংঙ্গে নিজের মালামাল নামানোর আগেই ব্যাগ নিয়ে রিকসা চালক চম্পাট দেয়। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে ঐদিনেই তিনি দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মর্জিনা বেগম ও তার একমাত্র পুত্রবধু আমেনা বেগম জানান ২০ অক্টোবর রবিবার মর্জিনা বেগম ও তার পুত্রবধু, নাতি – নাতনি সহকারে তার মেয়ের বাড়ি যশোর থেকে খুলনায় ট্রেন যোগে আসেন। দৌলতপুর শামিম হোটেলের বাম পাশের ফলের দোকানের পাশের মোড় থেকে ২টা রিকসা নিয়ে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দিয়ে বাড়ির কাছাকাছি পৌছালে পুত্রবধূকে বহন করা রিকসা খানা নষ্ট হয়ে যায়। তখন মর্জিনা বেগম তার রিকসায় থাকা ট্রাভেল ব্যাগ না নিয়ে তার পুত্রবধুর কোলে থাকা অসুস্থ নাতীকে নিয়ে মর্জিনা বেগম বাড়ির দিকে রওনা করেন। এই সুযোগে মর্জিনা বেগম কে বহন করা রিকসা ট্রাভেল ব্যাগ নিয়ে চম্পোট দেয়। ওই ট্রাভেল ব্যাগে যশোরে বিক্রি করা জমির ২লক্ষ টাকা, ব্যবহারের ৫ ভরি গহনা, জমির কিছু পর্চা ও ট্রাভেল ব্যাগে থাকা পরিধেয় কাপড় নিয়ে রিকসা চালক চলে যায়। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া মর্জিনা বেগমের পুত্রবধু জানান আমরা দৌলতপুর দিবা/নৈশ কলেজ গেটের সামনের গ্যাসের দোকান থেকে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সিসি ফুটেজে দেখে রিকসা চালক কে চিনতে পেরেছি। রিকসা চালকের ছবি ও প্রিন্ট করেছি। এখন এই প্রিন্ট করা ছবি ও সিসি ফুটেজ থানায় জমা দিয়েছি।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী বিষটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন মর্জিনা বেগম ভুল করে তার ব্যাগ রিকসায় ফেলে রেখে যায়। এই বিষয়ে মর্জিনা বেগম থানা লিখিত অভিযোগ করেছেন। দৌলতপুর থানার এস আই মাহমুদুল জানান মর্জিনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা রিকসা চালকের অনুসন্ধান করছি। বিভিন্ন রিকসার গ্যারেজে খোজ খবর নিচ্ছি। মর্জিনা বেগম সিসি ফুটেজ বের করে ও সিসি ফুটেজ দেখে রিকসা চালককে সনাক্ত করে ছবি প্রিন্ট করে থানা জমা দিয়েছে। রিকসা চালকরা কোন দুরঘর্টনা ঘটিয়ে থাকলে এক এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যায়। যার কারণে খুজে পেতে একটু সময় লাগে। আশাকরছি খুব তারাতারি রিকসা চালকের অনুসন্ধান করতে পারবো।