মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
বৈশ্বিক পর্যায়ে ভিডিও গেমের বাজার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গত বছর এ খাতে এশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (এমইএনএ) অঞ্চল ৮ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার আয় করেছে এবং বছরওয়ারি হিসেবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সামনের বছরগুলোয় ভারত এ অঞ্চলগুলোর নেতৃত্ব দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকরা।ভিডিও গেমের বাজার গবেষণা ও কনসালটেশন ফার্ম নিকো পার্টনারসের তথ্যের বরাতে গেটওয়ে টু গেমিংয়ে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (এমইএনএ) অঞ্চলে গেমিং খাতের এ প্রবৃদ্ধি ২০২৮ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে।প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৮ সাল নাগাদ ভারতে ২৭ কোটি ৭০ লাখের বেশি নতুন গেমার যুক্ত হবে, যা অঞ্চলগুলোর মোট গেমারের প্রায় ৭২ শতাংশ। এর মাধ্যমে গেমার সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। ২০২৩ সালে ভারতের গেমিং বাজার ৮৩ কোটি ডলার আয় করেছে, বছরওয়ারি হিসেবে প্রবৃদ্ধির হার ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে ২০২২ সালের ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় এ হার কম। চলতি বছর এ খাতে দেশটি ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এবং মোট আয় ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারে পৌঁছাবে। ২০২৫ সালে ভারতে গেমিং বাজার ১০০ কোটি ডলার এবং ২০২৮ সাল নাগাদ ১৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলেও প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।ভিডিও গেমিংয়ের মাধ্যমে মোট আয়ে ৭৭ দশমিক ৭ শতাংশই আসে মোবাইল খাত থেকে। এর বিপরীতে কম্পিউটার গেমিংয়ে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং কনসোল থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ আয় হয়ে থাকে। গেমিংয়ের জন্য দেশটিতে মোবাইলকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে। ২০২২ সালের তথ্যানুযায়ী, এ সময় ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ গেমার মোবাইলকে গেমিং প্লাটফর্ম হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। সেই সঙ্গে মোট আয়ের ৮৫ শতাংশ ছিল মোবাইল গেমকেন্দ্রিক।আইজিএন ইন্ডিয়া প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মোবাইল গেমাররা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৪ ঘণ্টার বেশি গেম খেলে ব্যয় করে থাকে। এর মাধ্যমে দেশটি এশিয়ার শীর্ষ ১০ অঞ্চলের তালিকায় উঠে এসেছে।প্রতিবেদনের মাধ্যমে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ভারতের গেমিং খাতে ভারতের ব্যতিক্রমী প্রবৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে। মোট গেমারের সংখ্যায় চীন শীর্ষে থাকলেও, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত এবং দেশটি দ্রæত প্রবৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৮ সাল নাগাদ দেশটির গেমিং বাজার অঞ্চল ভিত্তিতে বড় অংশ দখলে নেবে এবং বর্তমানে যারা শীর্ষে রয়েছে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকবে।২০২৩ সালে বৃহত্তর এশিয়া ও এমইএনএ অঞ্চলের গেমিং বাজার ভালো রাজস্ব আয় করেছে। যেখানে শুধু চীনই ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ হিস্যা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পূর্ব এশিয়া এবং ভারতের হিস্যা ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ।প্রতিবেদনের মাধ্যমে মূলত ভারতের ক্রমবর্ধমান গেমিং বাজারের তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষ করে দেশটিতে গেমার সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ও বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে বৈশ্বিক গেমিং খাতে ভারত অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী দেশে পরিণত হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA