পরে নলছিটি থানার অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রেজানুন্নবী রাজুকে ওইদিন রাতেই প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। ভুক্তভোগী আরিফুর রহমান আমার সংবাদ পত্রিকার নলছিটির উপজেলা প্রতিনিধি।
পুলিশ সুপার বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগে সাংবাদিক আরিফুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল তাঁর চাচাতো ভাই আবদুল শুক্কুর সরদারের স্ত্রী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে অভিযোগ করেন। পরে নলছিটি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম ও কনস্টেবল রেজানুন্নবী রাজু ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকায় গিয়ে আবদুল শুক্কুর সরদারের গলা ধাক্কা দেন। সেই সঙ্গে গালিগালাজ করে আবদুল শুক্কুর ও তাঁর স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যান।
আরিফুর রহমান আরও বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি থানায় যান। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলীর মাধ্যমে মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। ওসির কাছে তাঁর চাচাতো ভাইকে গলা ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। পরে ওসির কক্ষ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানার পূর্ব পাশের বারান্দায় পুলিশ কনস্টেবল রেজানুন্নবী রাজু তাঁকে (আরিফুরকে) চড়থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। রেজানুন্নবী রাজু হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর এত বড় সাহস, তুই থানায় এসে আমার নামে ওসির কাছে নালিশ করস। তোর মতো সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙে দিলেও কিছু হবে না।’ মারধরের শিকার হয়ে তিনি (আরিফুর) নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের সদস্য রেজানুন্নবী রাজুর মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। নলছিটি থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের সদস্য রেজানুন্নবী রাজুকে গতকাল রাতেই প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। সংবাদকর্মী আরিফুর রহমানের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।