• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন

×

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি

  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৯ পড়েছেন
রাকিবুল ইসলাম তেরখাদা খুলনাঃ
ও গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের পানে চাইয়ারে……. । মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে, একসময় গ্রাম  বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহন হিসেবে ঘোড়া গাড়ির প্রচলন ছিল। গ্রামবাংলায় ঘোড়া ও গাড়িই ছিল যোগাযোগের একমাত্র বাহন। কালের গ্রাসে আধুনিকতার স্পর্শে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি এখন শুধুই অতীতের স্মৃতি। আধুনিক যান্ত্রিক যানবাহনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে ঘোড়ার গাড়ি! ইঞ্জিনের স্পর্শে  গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী অনেক যানবাহনই  পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক—বাহক অনেক বাহনেরই আমূল পরিবর্তন, আধুনিকায়ন সাধিত হয়েছে। আবার ঐতিহ্যবাহী অনেক বাহনই হারিয়ে গেছে দৃশ্যপট থেকে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ঘোড়ার সাহায্যে চলমান ঘোড়ার গাড়ি বহুবিধ কারণে বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে দৃশ্যপট থেকে।
কয়েক বছর আগেও কালের বিবর্তনে  দু’একটি ঘোড়ার গাড়ির দেখা মিললেও বর্তমানে তা যেন ডুমুরের ফুল। দিন পরিবর্তন এর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের ধারকবাহক অনেক বাহনেরই আমূল পরিবর্তন, আধুনিকায়ন হয়েছে। আজ শহরের ছেলে—মেয়েরা তো দূরে থাক গ্রামের ছেলে—মেয়েরাও ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নায়। এক সময় এর জনপ্রিয় গান, ওকি গাড়িয়াল ভাই—কত রব আমি পানে চাইয়ারে’ মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে এমন গান আর শোনা যায়না। কথাটি গানের লাইন হলেও এক সময় তা বাস্তব ছিলো। কারণ গ্রামগঞ্জে গেলেও এখন এমন ঘোড়ার গাড়ি দেখা পাওয়া যায় না। মানুষ এক সময় যা কল্পনা করেনি।তারই ধারাবাহিকতায় এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় গ্রাম—বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য এবং যোগাযোগ ও মালামাল বহনের প্রধান বাহন ঘোড়ার গাড়ি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবার পথে। যা একসময় ছিল সর্বত্র এই ঘোড়ার গাড়ির কদর। এক সময় গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বাহন ছিল ঘোড়ার গাড়ি। প্রযুক্তির কারণে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি ও গাড়িয়াল পেশা। দিন আর সময় বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন এসব গাড়ি স্থান পেয়েছে সংবাদপত্র ও বিভিন্ন বইয়ের পাতায়। তবে গ্রামের কিছু কিছু জায়গায় এখনোও দেখা মেলে গরু—মহিষ আর ঘোড়ার গাড়ি। এসব গাড়ি যারা চালান তাদের বলা হয় গাড়িয়াল। তবে পেশাদার গাড়িয়াল খুঁজে পাওয়া এখন দুষ্কর।  তেরখাদার উপজেলার কাটেংগা গ্রামের মোঃমনির মোল্লা ও মিলুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন , আমাদের পূর্বপুরুষেরা ঘোড়ার গাড়ি চালাত । তখন আমাদের অনেকগুলো ঘোড়া ছিল।
কিন্তু ঘোড়ার খাবারের দাম বাড়ায়, একটা একটা করে ঘোড়া বিক্রি করে এই ব্যবসা ছোট করেছি। এখন আছে কেবল একটি ঘোড়া। আমিই চালাই তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষের ঘোড়ার গাড়ি এখানেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন,আমি বুঝতে পারার পর এই পেশায় আছি। এখনও ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছি। বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়, তারপরও পরিবার পরিজন নিয়ে চলে যাচ্ছে তাদের জীবন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেও  টাকা উপার্জন করি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA