আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শুরুতে চার দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও বর্তমানে এক দফা দাবি বাস্তবায়নে অনড় শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলো, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
খুবি শিক্ষার্থী সাইফ নেওয়াজ বলেন, ‘মেধাবীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। কোটা বৈষম্যের কারণে মেধাবীদের জন্য সব রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী দিয়ে পরিচালিত একটি স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
এ বিষয়ে মাঈনুল হক আবির বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের দাবি আদায়ে এই অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অবরোধ কার্যক্রম সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে। দাবি আদায় না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে।’