বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
দেশ প্রতিবেদক: বিবাহের ১বছর যেতে না যেতেই হাতের মেহেদীর রঙ না শুকাতেই জীবনের আলো নিভে গেল প্রিয়ন্তীর। সে রূপসার নৈহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বিবাহের পর থেকেই সহ্য করতে হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। গরীব পিতার মেয়ে হয়েও বড়লোক শশুর বাড়ির চাহিদা পুরুন করতে না পারায় অকালে জীবন গেল স্কুল ছাত্রীর। নিহতের পিতা নিলীপ দে জানায়, স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধুকে মারপিটের পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। যা শনিবার রাতে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত গৃহবধু প্রিয়ন্তী দে(১৮) খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের তালিমপুর গ্রামের দিলীপ দের মেয়ে ও যশোর সদর উপজেলার চুড়িপট্রি এলাকার নয়ন দের স্ত্রী। গত ১৪জুলাই/২৩ সালে প্রিয়ন্তীর সাথে বিয়ে হয়েছিল যশোর সদরে উপজেলার চুড়িপট্রি এলাকার নিতাই দের ছেলে নয়ন এর সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্কুল ছাত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত স্বামী নয়ন তার বোন, ও মা সহ তার পরিবারের লোকজন। কয়েকবার তাকে মারধর করেছে যা বাড়িতে এসে মা কে জানাত স্কুল ছাত্রী এমন কি পিতার বাড়িতেও আসতে দিত না এবং পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ করতে দিত না ছাত্রীকে। এক পর্যায়ে তাকে গত ১৩জুলাই-২৪ রাতে প্রিয়ন্তীকে মারপিট ও নির্যাতনের পর তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামীসহ শশুরবাড়ির লোকজন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পর গৃহবধুর স্বামীর পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয় বলে নিহতের পরিবার জানায়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে স্কুল ছাত্রীর পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং তারা এ ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শাস্তির দাবী জানিয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং রূপসার তালিমপুর শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA