বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
তেরখাদা,প্রতিনিধি:
খুলনা জেলার তেরখাদার বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গেলো কয়েকদিনের অরাজকতা কমেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল প্রতিষ্ঠান খুলেছে। স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবণ এবং ব্যবসা বানিজ্য। এদিকে, ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আ’লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তেরখাদা উপজেলা বিভিন্ন স্থান হামলা,দখল, চাঁদাবাজী ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মাঠে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী না থাকার সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা কর্মীরা ভয়ে গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে হামলা,লুটপাট আতঙ্ক। পশ্চিম কাটেংগা এলাকার মো: মিজানুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে তার স্ত্রী। ভয়ে তিনি পরিবার নিয়ে এখনও বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। অন্যদিকে,শিক্ষার্থী, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করলেও বিচ্ছিন্ন কিছু অরাজকতার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু উপজেলা সদরে অস্থায়ী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও থানা পুলিশ কর্মবিরতির পর ব্যাপক নজরদারি ও টহলের ফলে ধীরে ধীরে জনমণের শঙ্কা কেটে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
তেরখাদা উপজেলার একজন ব্যবসায়ী শামীম খন্দকার বলেন, হঠাৎ করে সরকার পতনের ফলে অরাজকতা বেড়েছিল। আতঙ্কে দোকানপাট খুলতেই পারছিলেন না ব্যসায়ীরা। পাহাড়া বসিয়ে নজরদারী করা লাগছে আমাদের। সে তুলনায় এখন অবস্থা একটু ভালো বলে তিনি জানান। সদর উপজেলা বাসিন্দা রাকিবুল জানান, চরম উত্তেজনাপূর্ন কয়েকটা দিন কেটেছে। জনজীবন এখন স্বাভাবিক হয়েছে। সামনের দিনগুলো আরো স্বস্তিকর হবে বলে তিনি আশা করেন।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। কেউ কোথাও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বিশৃংখলাকারীরা যে দলেরই হোক, তাদের কঠোর হস্ত দমন করা হবে। বিশৃংখলাকারীরা দেশের শত্রু, তারা জনগণের শত্রু।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA