বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
খবর বিজ্ঞপ্তিঃ
মোছাঃ শিরীনা খাতুন (১৫) একজন ১৫ বছর বয়সী একজন কিশোরী।ভিকটিম বারপাখিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির একজন ছাত্রী। আসামী এবং ভিকটিম এর বাড়ি পাশাপাশি অবস্থিত এবং সম্পর্কে ভিকটিমের প্রতিবেশী চাচা। গত ইং ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম কালীগঞ্জ থানাধীন বারপাখিয়া গ্রামস্থ বেগবতী নদীতে মাছ ধরতে গেলে ০১ নং আসামীর সহিত দেখা হইলে ০১ নং আসামী সোহেল হোসেন ভিকটিমকে একা পাইয়া জোরপুর্বক পার্শ্ববর্তী জনৈক মোঃ আঃ সবুর এর বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে তাহার মুখ চেপে ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।ভিকটিম ইং ১৭/০৮/২০২৪ তারিখ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিকটিমের মাতা ভিকটিমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়া জানায় ভিকটিম ০৫(পাঁচ) মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে ভিকটিমের মাতা সাক্ষীদের সম্মুখে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় আসামী মোঃ সোহেল হোসেন তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করিয়াছে। ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গত ১৯ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। র্যাব-৬ এর আভিযানিক দল বিষয়টি জানতে পেরে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং প্রধান ধর্ষন কারী আসামীর গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন বারপাখিয়া এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ১৭.০০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন বারপাখিয়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার প্রধান পলাতক আসামী- মোঃ সোহেল হোসেন (৩০), পিতাঃ আব্দুল খালেক, সাং- বারপাখিয়া, থানা- কালীগঞ্জ, জেলা- ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্থান্তর করা হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA