বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা :
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাতক্ষীরায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কখনো ভারী বৃষ্টি আবার কখনো থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সর্বক্ষণ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর লঞ্চঘাট,পদ্মপুকুর, কামালকাটি, কোমরপুর ও কুড়িকাহনিয়াসহ ৯টি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট ঝুকিপূর্ন রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ। ফলে বঙ্গোপোসাগরের সৃষ্ট ঘূর্নিঝড় দানা’র প্রভাবে নদ ও নদীর পানি বৃদ্ধিপেয়ে জলচ্ছাসের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার শংকায় আতংকিত ও উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছে উপকূলবাসী।
এদিকে উপকূলের ৫ লাখ মানুষের নিরাপদ রাখতে ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক বৈঠক করে দূযোর্গ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ।
তিনি জানিয়েছেন উপকূলে মানুষের আশ্রয়ের জন্য শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলাসহ মোট ১শ’ ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮৮৭ টি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও জরুরী ত্রাণ সহায়তার জন্য ৪৪২ মে.টন চাউল মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসা সেবার জন্য মেডিকেল টিম ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল কর্মকতা ও কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাহুনিয়া এলাকার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম জানান,কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী লঞ্চঘাটের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, কামালকাটি, কোমরপুরসহ ৯টি পয়েন্টে ৫ কি:মি: বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড় ও নদীতে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছাস হলে ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শংকায় রয়েছে চিংড়ী ঘের ব্যবসায়ী ও কাঁকড়া খামারিরা।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, ‘সাতক্ষীরায় ৬৮৩কি:মি: বেড়িবাঁধ রয়েছে। যার মধ্যে ৯টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ। তবে তাৎক্ষণিক মোকাবেলায় ১১ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA