বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
দেশ প্রতিবেদক: খুলনায় হওয়া নাশকতার একটি মামলায় খালাশ পেলেন বিএনপির ১৫৪ জন নেতাকর্মী। রবিবার বেলা ১২ টায় খুলনার ১ নং মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। প্রায় ১৪ বছর আগে পিটিআই মোড়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিস্তু বিএনপির বিরুদ্ধেই ২০১১ সালে খুলনা সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা দায়ের করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসানুর রশীদ মিরাজ বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার খুলনার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাড়িঘর ছাড়া করেছে। এ মামলা দিয়ে আমাদেরকে সার্বিকভাবে হয়রানি করেছে হাসিনা সরকার। আমরা আজকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি। এটা খুশির কিছু না। শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ দেশের মানুষ আনন্দিত হবে না। তিনি আরো বলেন, ২০১১ মামলাটি দায়ের হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের আজকের দিন পর্যন্ত মামলাটি দিয়ে হয়রানি করেছে। বিচারক কেন এতোদিন মামলার রায় ঘোষনা দেয়নি? জেল দিতো নয়তোবা জেলে দিতো। আওয়ামী সরকার হয়রানি এবং মানসিক টর্চার করেছে আদালতের মাধ্যমে। অব্যাহতি পাওয়া অন্য এক যুবদল নেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা রাজনীতি করি দেশের স্বার্থে। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী। দীর্ঘ প্রায় ১৪টি বছর কোর্টের বারান্দায় ঘুরেছি। বিএনপির অন্য একজন নেতা আলমগীর হোসেন ব্যাপারি বলেন, মামলা দিয়ে হয়রানি আওয়ামীলীগ সরকারের অন্যতম একটি কৌশল ছিলো। ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলকে হয়রানি করা স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম উদাহরণ। কোন মিছিল মিটিং প্রোগ্রাম করলেই মামলা। সরকারের সমালোচনা করলেই মামলা। তিনি আরো বলেন, আমরা যে মামলা নিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি সে মামলার বিচার হওয়ার আগেই দুজন বিবাদীর মৃত্যুও হয়েছে। অন্যান্য নেতাকর্মীরা জানান, আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হলেও শেখ হাসিনার বিচার এখনো হয়নি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ পাইানি। একের পর এক মামলা হামলার শিকার হয়েছি। তারা আরো বলেন, এ হয়রানি মূলক মামলা কেন হলো? কারা এর সাথে জড়িত? তাদের বিচারের আওয়াতায় আনতে হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA