• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

×

তেরখাদায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা— লুটপাট

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৫ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক: খুলনা জেলার তেরোখাদা উপজেলার মোকামপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলায় মো. সালমান নামে একজন যুবক গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সালমান অত্র এলাকার সেকেন্দার আলীর পুত্র। গত শনিবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের মা শারমিন আক্তার বাদী হয়ে সোমবার তেরখাদা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। সাত জনের নাম উল্লেখসহ ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিবাদীরা হলেন মোঃ শাহ আলম ফকির (৫৫), মোঃ শাহজামাল ফকির(৪৭), আমির আলী ফকির (৩২), রবিউল ফকির (৩৮) হানিফ ফকির (৫০), ফারুক মোল্যা (২৬), মুজাহিদ ফকির (১৯)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সাথে বাদীর ছেলের একটি মামলায় স্বাক্ষী দেওয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতা ছিলো। বাদীর ছেলে সালমান ফারসি (২২) আসামীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী দেওয়ার জের গত শনিবার, ১৬ই নভেম্বর বেলা আনুমানিক ১০টা ৪৫ মিনিটে মোঃ শাহ আলম ফকিরের (৫৫) নেতৃত্বে ১৫/২০ জন দেশীয় তৈরী অস্ত্র, লোহার রড, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে তেরখাদা থানাধীন দক্ষিন মোকামপুর গ্রামে বাদীর বাড়ী সংলগ্ন বাদীর ছেলে মোঃ সালমানের (২২) দোকানের সামনে এসে বাদীর ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বাদীর ছেলে সালমান দোকান থেকে বাইরে এসে আসামীদের গালিগালাজের প্রতিবাদ করিলে মোঃ শাহ আলম ফকির (৫৫) অন্যান্যদের হুকুম দেয় যে, “শুয়ারের বাচ্চাকে প্রানে মেরে ফেল”। হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে তার সাথে থাকা লোকজন বাদীর ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। যার দরুন সালমানের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কালসিটে ফুলা এবং জখম হয়। একই সাথে মোঃ শাহজামাল ফকির তার হাতে লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্যে সজোরে আঘাত করলে বাদীর ছেলে মাথা সরিয়ে নিলে তার মুখের বাম পাশের নাকের উপর লেগে নাকের হাড়ভেঙ্গে যায়। এ সময় সালমান মাটিতে পড়ে গেলে আমির আলী ফকির (৩২) বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি দিলে ঘাড় ও মাথা জড়িয়ে বাড়িটি লাগে। এ সময় রবিউল ফকির হাতে হাতুড়ি দিয়ে তার ছেলের ডান পায়ে বাড়ি মেরে জখম করে। একই সাথে হানিফ ফকির (৫০), ফারুক মোল্যা (২৬) হাতে থাকা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে সালমানের ডান ও বাম পায়ের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি বাড়ি মারে। এ সময় সালমান চিৎকার করলে ঘটনাস্থলে এসে বাদী রক্ষা করতে গেলে মোঃ শাহ আলম ফকির (৫৫), মোঃ শাহজামাল ফকির(৪৭),মুজাহিদ ফকিরের (১৯) তাদের হাতে থাকা লোহার রড, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি বাড়ি মারতে থাকে। ঐ সময় মোঃ শাহজামাল ফকির(৪৭) ও রবিউল ফকির (৩৮) সালমানের দোকানে দোকানে ঢুকে। এ সময় রবিউল ফকির (৩৮) ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা নগদ ৮৫,৬০০/—(পঁচাশি হাজার ছয়শত) টাকা নিয়ে যায় এবং মোঃ শাহজামাল ফকির(৪৭) দোকানে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র একটি প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে নিয়ে যায় (যার মূল্য আনুমানিক ৩৫,০০০/—(পয়ত্রিশ হাজার) টাকা)। এসময় বাদীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তাৎক্ষনিক পালিয়ে যায় বিবাদীরা। বাদী শারমিন আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে মারার সময় তার চিৎকারে শুনে আমি ছুটে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে। এ সময় দোকানের মালামাল ক্রয়ের টাকা এবং অনেক মালামাল নিয়ে যায়। শাহ আলম ফকিরের সাথে অনেক লোকজন আসছিলো। অনেককেই চিনি না। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ আমি থানায় দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, শাহ আলম ফকির ও লোকজন বিভিন্ন সময় আমাদের জমি জায়গা দখল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে তারা বিরোধ করে বিভিন্ন সময় আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। এখন আমার ছেলেকে প্রায় আধ মরা বানিয়েছে। মাথায় যেভাবে রড দিয়ে বাড়ি দিছে, তা কোন মানুষ মানুষকে দেয় না। এ বিষয়ে বিবাদীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। শাহ আলম ফকিরের বাসায় এ প্রতিবেদক গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA