রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন

খুলনায় পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ

মো. শহীদুল হাসান :
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৯৫ পড়েছেন

♣  দৈনিক দেশ সংযোগে সংবাদ প্রকাশের পরবর্তী ঘটনা 

# তদন্ত  কমিটি গঠন                                                   # ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ

খুলনা নগরীর বয়রা এলাকার পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন শ্রেণীকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস ও অবৈধভাবে বিদ্যালয় ভবনে কিন্ডার গার্টেন স্কুল পরিচালনার বিষয়ে দেশ সংযোগ পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গত ৩ ডিসেম্বর ‘পিডব্লিউডি স্কুলের শ্রেণী কক্ষে প্রধান শিক্ষকের বসবাস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের সূত্র ধরে স্কুল কমিটির সভাপতি ও খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছেন। এছাড়া খুলনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শোকজের জবাব পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনের শ্রেণীকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন ও তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান (সহকারী শিক্ষক) রুনা আক্তার। একই সাথে এমপিওভূক্ত বিদ্যালয়ের অপর কয়েকটি শ্রেণীকক্ষে মনিং বি কিডর্স স্কুল নামে কিন্ডার গার্টেন স্কুল চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দৈনিক দেশ সংযোগসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষককে শোকজ এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে।

পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, পিডব্লিউডি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। যা আইন বিরোধী কর্মকান্ড বলে প্রতীয়মান হয়েছে ও বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া ভবনে তার পরিবার নিয়ে বসবাস ও স্কুলের মধ্যে আরেকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল পরিচালনা করার কারণে প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবার পাওয়ার পরে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন জানান, পিডব্লিউডি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া স্কুল ভবনে পরিবার নিয়ে বসবাস ও এমপিওভূক্ত বিদ্যালয়ের মধ্যে আরেকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল পরিচালনার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। যা সরকারের এমপিওভূক্তি নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এবং বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। প্রকাশিত সংবাদে এ বিষয়ে অবগত হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেনের কর্মকান্ড খতিয়ে দেখতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে সরকারের এমপিওভূক্তি নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ জানান, পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কর্মকান্ডের বিষয় খতিয়ে দেখতে উপ-পরিচালক আমাকেসহ ৩ জনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রধান শিক্ষককে জবাব প্রদানের জন্য বিদ্যালয়ে পত্র পৌছে দেয়া হয়েছে। আমরা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র এবং স্কুল পরিদর্শন করে ও প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের বক্তব্য গ্রহণের পর একটি প্রতিবেদন উপ-পরিচালকের কাছে দাখিল করবো।

এ বিষয়ে পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন জানান, তিনি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ^াসের শোকজের নোটিশ পেয়ে ইতিমধ্যেই জবাব প্রদান করেছেন। এছাড়া খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির পত্র পেয়ে তারও জবাব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া স্কুলের শ্রেণীকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস ও অবৈধভাবে কিন্ডার গার্টেন স্কুল পরিচালনা, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে প্রতিনিয়ত মারমুখী আচরণ, দুর্ব্যবহার ও মারপিট, ছুটির দিনে নানা অজুহাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গত ৩ ডিসেম্বর দৈনিক দেশ সংযোগ পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় পিডব্লিউডি বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৩ সালে ১লা জানুয়ারি এমপিওভূক্ত হয়। এসময়ে প্রধান শিক্ষক লিয়াকত হোসেন এমপিওভূক্তির কথা বলে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে গত প্রায় ০৩ বছর ধরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবনের তৃতীয় তলায় কক্ষ দখল করে প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। সেই সাথে বিদ্যালয় ভবনটির দোতলায় কয়েকটি শ্রেণীকক্ষে মনিং বি কিডস স্কুল নামে কিন্ডার গার্টেন স্কুল পরিচালনা করছেন। এছাড়া, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতা হওয়ায় সাধারণ শিক্ষকদের সংগঠিত করে সরকারের নতুন মাধ্যমিক শিক্ষা কারিকুলামের বিরোধী প্রচার-প্রচারনা এবং স্কুলে স্কুলে শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক ও স্কুলের ছেলে মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে উস্কানি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ করে তোলারও অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক লিয়াকত হোসেনের এসব অনিয়ম, অবৈধ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিও জানান এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও নাগরিক নেতারা।

অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন স্ত্রী পরিবারসহ বিদ্যালয়ের ৩য় তলার দক্ষিণ দিকের তিনটি কক্ষ ব্যবহারের জন্য পর্দা দিয়ে আলাদা করে রেখেছেন। দক্ষিন দিকের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য টয়লেটও ব্যবহার করছেন প্রধান শিক্ষকের পরিবার। তাদের পাশের কক্ষেই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ চলছে। ভবনটির দোতলার ৩টি কক্ষ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে মনিং বি কিডস স্কুল নামের কিন্ডার গার্টেন। ৩টি কক্ষের ১টি অফিস হিসেবে এবং অন্য ২টি কিন্ডার গার্টেনের শ্রেণী কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্ডার গার্টেন স্কুলটির প্রধান হিসেবে মো. শহিদুল ইসলাম নামে বহিরাগত একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি বিব্রত হচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। ফলে স্বনামধন্য বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ, গুনগত মান ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক, এলাকাবাসী, শিক্ষক-কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন খুলনা অঞ্চলের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতা করেছেন। তার বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে কর্মকান্ড এখনও থেমে নেই। তিনি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের শিক্ষকদের সংগঠিত করে খুলনায় আন্দোলন সংগ্রাম করছেন। এমনকি শিক্ষকদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে খুলনায় বিক্ষোভ-মানববন্ধন এবং ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগদানে বাধ্য করেছেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের নতুন মাধ্যমিক শিক্ষা কারিকুলামের বিরোধীতা করে প্রচার প্রচারনায় লিপ্ত রয়েছেন। বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক ও স্কুলের ছেলে মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে উস্কানি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ করে তুলছেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রভাবশালী নেতা হিসেবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে প্রতিনিয়ত মারমুখী আচরণ ও দুর্ব্যবহার করেন। ছুটির দিনেও নানা অজুহাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্কুলে আসতে বাধ্য করেন। এমনকি ব্যক্তিগত কাজও তাদেরকে দিয়ে করান। এ বিষয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক তাদেরকে গালিগালাজ ও মারপিট করেন। তার প্রভাব ধরে রাখতে অনুগত শিক্ষক-কর্মচারীদের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি এসব কাজ করছেন। ইতিপূর্বে প্রধান শিক্ষখ স্কুলের অফিস সহকারী মো. আলমগীর কবির ও অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মারধর করেন। যা নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন ও বিএসসি শিক্ষক কমলেশ রায়কে স্কুল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। যা ওই সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একই সময়ে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় একাধিক সহকারী শিক্ষককে হুমকি ধামকি, শোকজ, বেতন কর্তন, টাইমস্কেল বন্ধ ও বিষয়ভিত্তিক ক্লাশ বন্ধ করাসহ বহিরাগতদের দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন। এসব কাজে প্রধান শিক্ষক লিয়াকত হোসেনকে সহায়তা করেন স্কুলের পার্ট টাইম কর্মরত ৪ জন সহকারী শিক্ষক ও অনুগত আরো কয়েকজন শিক্ষকের একটি সিন্ডিকেট। প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়ম, দূর্নীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে বিদ্যালয়ের স্কুল ভবন থেকে প্রধান শিক্ষকের আবাসন ও কিন্ডার গার্টেন অপসারণ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সুষ্টু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও সরকারের মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সভাপতি এ্যাড. কুতরত-ই-খুদা জানান, একটি সরকারি এমপিওভূক্ত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে শুধুমাত্র শোকজ ও তদন্ত কমিটি করাই যথেষ্ট নয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শোকজের জবাব পর্যালোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যেন অন্যকেউ এধরণের অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকান্ড করতে সাহস না পায় বলেও জানান এ নাগরিক নেতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu