খুলনার রূপসার আকতার শিকদারের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় এবং অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা না দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যাচার করে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী শিকদার। বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। ইউনুছ আলী শিকদারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে হাবিব শিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ আলী শিকদার আরো বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারী আকতার শিকদার তার কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় এবং অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা না দেওয়ায় এবং সামাজিক ভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তিনি ওই সকল মিথ্যা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমার বড় ভাইয়ের ছেলে কামরুল বিএনপি’র ক্যাডার এবং বিভিন্ন নাশকতা মামলার আসামী। ইতিপূর্বে সে নাশকতার মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটেছে। এর আগে বড় ভাইয়ের সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় তার কাছে জমি কেনার টাকা দিলে তিনি নিজ নামে জমির দলিল রেজিস্ট্রী করেন। এবং আমার নিকট থেকে মাটি কাটার এসকেবেটর কেনার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েও ফেরত দেননি। এমনকি আকতার শিকাদর ও তার ভাই কামরুল শিকদার তার পালিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার ভাটায় এসে অস্ত্রের মুখে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। যার দরুন আমি আদালতে মামলা করি। এসক বিষয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আকতার শিকদার সংবাদ সম্মেলনে করে সবাইকে বিভ্রান্ত করেছে।
তিনি আরো বলেন, আকতার শিকদার সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগে জানান আমার ইটভাটা সরকারী জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো আমার মালিকানাধীন ইটভাটা কোন সরকারী জায়গার উপর স্থাপন করা হয়নি। এবং এর মধ্যে কোন সরকারী রাস্তাও নেই। প্রচুর গ্রামবাসী ইটভাটায় কর্মরত রয়েছে। গ্রামবাসী কখনও ইটভাটার বিপক্ষে কোন কথা বলে নাই বা প্রতিবাদ করেনি।
তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সকল বিভ্রান্তি দূর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
লিখিত বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময়ে বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।