রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

নারী নির্যাতন মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এসফাকুর রহমান কারাগারে

দেশ প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৯৭ পড়েছেন

যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অপরাধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত। মঙ্গলবার খুলনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আমলী আদালত (রুপসা) বাদীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং অপর একটি মামলায় বুধবার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ নং আদালত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অভিযুক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নাম মো. এসফাকুর রহমান (৪০) ওরফে রাজন, পিতা: মো. জিল্লুর রহমান। বর্তমান ঠিকানা: ২৬৩/১ শেরে বাংলা রোড, সোনাডাঙ্গা,খুলনা। তিনি বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেক্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মো. এসফাকুর রহমান (৪০) ওরফে রাজনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে পিবিআইকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়। পিবিআই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং অপর একটি মামলায় বুধবার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ নং আদালত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদীর সাথে এসফাকুর রহমানের ২০২২ সালের ২২ শে সেপ্টেম্বর ইসলামী শরিয়তের বিধান মতে ৫,০০,০০০/— (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ হয়। বিয়ের সময়ে এসফাকুর রহমান ৪,০০,০০০/— (চার লক্ষ) টাকা জার্মানিতে পড়াশোনা করতে যাওয়ার জন্য দাবী করলে বাদীর পরিবার তাকে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর ১৩/১০/২০২২ তারিখে জার্মানিতে চলে যান এবং ২০২৩ সালের মে মাসে দেশে ফিরে আসেন। এরপর বেশ কিছুদিন পর এসফাকুর রহমান আবার আমেরিকায় যাওয়ার জন্য ৫,০০,০০০/— (পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুক হিসাবে দাবী করেন। কিন্তু যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা জানালে বাদীকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে এসফাকুর রহমান। এসফাকুর রহমানের স্ত্রী বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে সহ্য করলেও পরবর্তীতে পরিবারকে জানায়। বাদীর পরিবার তখন বিষয়টি সমাধানের জন্য কখা বলতে গেলে জানতে পারেন এসফাকুর রহমানের পূর্বে একটি বিবাহ আছে এবং একটি সন্তান রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে কথা বললে বাদীকে শারিরীক নির্যাতন করে আসামী এসফাকুর রহমান । তখন আসামী এসফাকুর রহমান ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন অন্যথায় এসফাকুর রহমান বাদীকে তালাক দিবেন বলে হুমকি দেন। মামলার স্বাক্ষীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বাদীর ভাই, বোন, পিতা—মাতা, আত্মীয়—স্বজন বিষয়টি মিমাংসার জন্য আসামীর সাথে পারিবারিকভাবে কথা বলে। কিন্তু এসফাকুর রহমান ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন। তার দাবীকৃত অর্থ না দিলে বাদীকে ডিভোর্স দেয়া হবে বলে সাফ জানান এসফাকুর রহমান। এক পর্যায়ে বিবাদীর পূর্বের বিয়ে নিয়ে কথা উঠলে বিবাদী বলেন, দরকার হলে আরো ২টা বিয়ে করবেন তিনি। পরবর্তীতে নানাবিধ হয়রানির শিকার হয়ে ভুক্তভোগি নারী একটি যৌতুক মামলা এবং অন্য একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। যার যৌতুক মামলা নং সিআর ৩৪৭/২৩ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং এমএস ১৫৫/২৩।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu